Kolkata: বাজারে নেই তোপসে, নাম তার তোপসিয়া! মাছ ভালোবেসে নামকরণ হয়েছে শহরে যে এলাকাগুলির

বাঙালিরা আগাগোড়াই মাছপ্রেমী। মাছ ছাড়া যেন বাঙালির দুপুরের ভোজন ঠিক সম্পূর্ণ হয় না। বাঙালিরা সে যেই স্থানেই থাকুক না কেন, মাছ খাওয়া কোনদিনও ছাড়বে না তারা। এর জন্যই হয়তো প্রবাদে রয়েছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। বাঙালিরা যে কতটা মাছ পছন্দ করে, তার পরিচয় কলকাতার বিভিন্ন স্থানের নাম শুনলেই পাওয়া যায়। মূলত কলকাতার বহু জায়গার নামের সঙ্গে মাছের নামের মিল রয়েছে। অনেকের ধারণা এই যে বাঙালিরা এতটাই মাছপ্রেমী যে মাছের নামে জায়গার নামকরণ করে দিয়েছে। যদিও একথা সত্য যে প্রত্যেকটি স্থানের নামের পিছনেই কোন না কোন ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে।

তোপসিয়া

img 20220714 230054

এই নামটি শুনলেই সবার প্রথমে তোপসে মাছের কথা মাথায় আসে। যদিও পূর্বে এই জায়গাটির নাম তোপসিয়া ছিল না। জানা গেছে যে, ১৭৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মীরজাফরের কাছ থেকে এই অঞ্চলের ৫৫ টি গ্রাম কিনে নেয়। আর এই কারণেই দিহি পঞ্চান্নগ্রাম নামেই এই স্থানটি পরিচিত ছিল।জানা গেছে, এই অঞ্চলের জলাশয় গুলিতে অনেক তোপসে মাছ পাওয়া যেত, যা মানুষ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। এর জন্যই পরে এই স্থানের নাম বদলে তোপসিয়া হয়ে গিয়েছে।

ট্যাংরা

img 20220714 225929

কলকাতার ট্যাংরা অঞ্চল যা চায়নাটাউন নামেও পরিচিত, সেই স্থানের নামের পিছনেও রয়েছে একটি গল্প। জানা গেছে এই অঞ্চলটিতে অনেক জলাভূমি ছিল। ১৯১০ সালে চিনা জুতো প্রস্তুতকারীরা এই স্থানে এসে বসবাস শুরু করে। এরপরই ধীরে ধীরে এখানে গড়ে ওঠে বহু চামড়ার কারখানা। কথিত আছে যে এখানকার জলাভূমিগুলিতেও প্রচুর পরিমাণে ট্যাংরা মাছ পাওয়া যেত, এর থেকেই নাম হয়েছে ট্যাংরা।

বেলেঘাটা

img 20220714 230154

এই নামের পিছনে রয়েছে এক মজার ইতিহাস। পূর্বে এই স্থানে বালির ঘাট ছিল, অনেকে মনে করেন সেই থেকেই এই স্থানের নাম হয়েছে বেলেঘাটা। আবার অনেকেই মনে করেন যে বেলে মাছের সাথে এই স্থানের কিছু সম্পর্ক রয়েছে। আসলে আমরা সকলেই জানি বেলে মাছ অগভীর জলে বালি মাটির মধ্যেই থাকে। আর এই স্থানে যেহেতু পূর্বে বালির ঘাট ছিল, সেহেতু অনেক মানুষ মনে করেন এখানে অনেক বেলে মাছও পাওয়া যেত। আর সেই থেকেই এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।

 




Back to top button