Potato Price in WB: জাওয়াদে ডুবেছে জমি, আম-আদমির চিন্তা বাড়িয়ে আরও দাম বাড়ছে আলুর

ফের আগুন বাজার দর। গত প্রায় এক মাস ধরেই ১৬ থেকে ১৭ টাকা দরে চলছিল আলুর(Potato) দাম। সেই কারণে বেশ কম দামেই সুখে শান্তিতে বাজার করতে পারছিল রাজ্যবাসী(West Bengal)। কিন্তু সুখের দিন সইলো না বেশি দিন। বাজারে(Market) এবার বাড়ছে আলুর দাম। সাধারণত যে আলু এতোদিন কিনতে খরচ পড়তো প্রতিকিলো ১৬ থেকে ১৭ টাকা। সেই আলুর দামই(Potato Price) এবার বেড়ে গেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। এমনি টমেটোর জ্বালায় জ্বলছিল সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে আবার আলুর হটাৎ দাম বৃদ্ধির জেরে পকেট গড়ের মাঠ।

অন্যদিকে, আলু টমেটোর দাম বাড়লেও বাজারে অন্য সবজির দাম এখনও খানিকটা রয়েছে অল্পের মধ্যেই। আলু-টমেটোর মতো সেগুলির গগনচুম্বী পরিস্থিতি নয়। পেঁপে, কুমড়ো ইত্যাদিই রয়েছে সস্তা দামে। মাছের বাজারে অবশ্য রুই মাছে দামে খানিক বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, টাটকা-জ্যান্ত মাছও বিকোচ্ছে চড়া দামে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মানুষই বাজার দর দেখে বাজারে যান। মঙ্গলবারের বাজারে পাইকারি দাম অনুযায়ী আলু ১৫ থেকে ১৭ টাকা কেজি, টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি।

Potato Price,Kolkata,Inflation,Price Hike,আলুর দাম,মূল্যবৃদ্ধি,পশ্চিমবঙ্গ,বাজার দর,Bengali News,News,West Bengal Market Price,potato price hike,kolkata price,kolkata news,west bengal news,market price news,potato price news,know the price of potato,west bengal goverment,mamata banerjee,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,পশ্চিমবঙ্গ সরকার,জেনে নিন আলুর দাম,আলুর দাম বৃদ্ধি,পশ্চিমবঙ্গের খবর,পেট্রোলের দাম,ডিজেলের দাম,মূল্যবৃদ্ধির বাজার

উল্লেখ্য, বুধবারের খুচরো বাজারে বেগুনের দাম যথারীতি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা প্রতি কেজি, পটল ৪০ টাকা প্রতি কেজি, ফুলকপি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, আলু ১৯ থেকে ২১ টাকা প্রতি কেজি। খুচরো বাজারে মাছের দরেও দেখা গেছে অল্প বৃদ্ধি। এদিন ছোটো আকারের কাতলা ২৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, বড় আকারের কাতলা ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা এবং রুইয়ের দাম ১৪০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হেমন্তে অকাল বর্ষণে ধান, আলু থেকে শুরু করে আনাজ চাষে বেশ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। জাওয়াদ নিম্নচাপের জেরে আলুর জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে হুগলী এবং পূর্ব বর্ধমানের বেশিরভাগ জায়গায়। জল বের করার পরেও জমি শুকোতে লাগবে দুসপ্তাহের কাছাকাছি। ফলে আলু চাষে মার খাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ৬৫,০৫৪ হেক্টর জমির ধান। পাশাপাশি, সর্ষে, পেঁয়াজের চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। মেমারির স্বরূপ মন্ডল, জামাল্পুরের বাব্লু দাসের দাবি, “বিঘের পর বিঘে আলুর জমি জলের তলায়। মাস খানেক পরেও নতুন করে আলুর চাষ করা সম্ভব নয়। খুবই উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি।”

আরও পড়ুন……Cyclone Jawad- মুখ ভার আকাশের, অবিরাম বৃষ্টির জেরে ভুগছে রাজ্যবাসী

হুগলী, বর্ধমানের পাশাপাশি, বাঁকুড়ায় বৃষ্টিতে অনেক জমির ধান, আলু ও আনাজ চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে অভিযোগ চাষিদের। হাওড়া জেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির আনাজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। আলুর ক্ষতি হয়েছে আড়াই হাজার হেক্টর জমির। আবার, নদিয়ায় ধান, আলুর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফুল চাষও। রজনীগন্ধা মাত্র পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গাঁদা ফুল বিক্রি করতে না পেরে অনেকে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন।




Back to top button