মুখ্যমন্ত্রীর স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের মতবিরোধ, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

আগামী ১৬ ই নভেম্বর থেকে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল খোলার নির্দেশিকা জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রায় ২০ মাস পর বিদ্যালয়মুখী হতে চলেছে ছাত্রছাত্রীরা। ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকার স্কুলগুলিতে পাঠানো হয়েছে নির্দেশিকা, যাতে উল্লেখ করা হচ্ছে এই অতিমারীর পরিস্থিতিতে কি কি নিষেধাজ্ঞা ও নিয়মাবলী পালন করে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন জারি থাকবে।

কিন্ত এই নির্দেশিকার বিরোধীতা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী। রাজ্যে এখনও করোনার দাপট বিরাজমান। এরই মধ্যে কোনো রকম পূর্ব-পরিকল্পনা না করে কেন ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠানোর নির্দেশ দিচ্ছেন রাজ্য সরকার। এই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই মামলা দায়ের করেছেন তিনি।

করোনা উদ্বেগ,স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ,কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের,জনস্বার্থের মামলা,স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা

রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোভিডবিধি মেনে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিন স্কুলে উপস্থিত থেকে অফলাইনেই পড়াশোনা করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। নবম ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সকাল ৯:৩০ টা থেকে বিকেল ৩:৩০ টে পর্যন্ত ক্লাস হবে এবং দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সকাল ১০:৩০ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত ক্লাস করতে হবে।

মামলাকারী আইনজীবীর দাবী, “আমাদের দেশে এখনও ছোটদের টিকাকরণ হয়নি। উৎসবের মরশুমে কোভিড সংক্রমণও বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে যদি স্কুল পড়ুয়ারা প্রতিদিন এতটা সময়ের জন্য ক্লাস করতে যায়, তবে তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে।” পাশাপাশি তিনি আরও দাবী করেছেন, এই বিষয়ে যথাযথ আলোচনা, পর্যালোচনা এবং সিদ্ধান্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। সেই কমিটি থেকেই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, সঠিকভাবে বিবেচনা করে, সময় কমিয়ে কীভাবে স্কুল খোলার সম্ভব তার সুপারিশ করা হোক বলেই দাবী করেছেন তিনি এই জনস্বার্থের মামলায়।

আদালত সূত্রে খবর, সম্ভবত এই বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি ঘোষণা করা হবে। এই মামলার শুনানির পরেই জানা যাবে আদৌ আগামী ১৬ই নভেম্বর থেকে স্কুল খুলছে কি না। প্রসঙ্গত লকডাউনের সময় থেকে দীর্ঘদিন অনলাইনে ক্লাস করছে অনেক পড়ুয়ারা। তবে প্রোটোনটি গ্রামে বা যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ ঠিকমত কাজ করে না সেই অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত হচ্ছিল। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই দ্রুত স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছিলেন অনেকেই।




Back to top button