School Reopening: ফের বাজছে স্কুলের ঘণ্টা, কিন্তু স্কুল গাড়ি নিয়ে কেন বাড়ছে উদ্বেগ
১৯ মাসের অপেক্ষা শেষে খুলতে চলেছে স্কুল (School)। দেখা হবে সহপাঠীর (Classmate) সাথে, কথা হবে সরাসরি। শিক্ষকদের বকুনি, গেট-ম্যানদের ঝাঁকুনি সবই আসতে চলেছে। একদিকে যেমন খুশি শিক্ষকেরা, তেমনই ছাত্রছাত্রীরাও আর খুশি স্কুল বাড়িগুলোও। স্কুল পড়ুয়াদের (school students) অপেক্ষার অবসান হয়েছে। এত দিন ধরে বন্ধ ছিল স্কুল তাই ধুলো ঝেড়ে খোলা হচ্ছে ঘরের দরজা-জানালা। নির্দেশ অনুযায়ী স্কুলগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। কাল সকাল থেকেই শুরু স্কুল। কিন্তু, সকালের স্কুলগাড়ী (school bus) ?
করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সঙ্কট দেখা গিয়েছিল প্রতিটা মধ্যবিত্ত পরিবারে। অনলাইনে পড়াশোনা চললেও স্কুলে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। যেহেতু স্কুল বন্ধ ছিল ফলস্বরূপ স্কুল বাস চালকরা অন্য অন্য কাজ খুঁজে নিয়েছে। স্কুল চালু হলেও কতজন পড়ুয়া স্কুল-বাসে উঠবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে স্কুল বাস সংগঠনের। তাই বেশি বাস চালাতে ইচ্ছুক নয় তারা।
বাস সংগঠনের কর্তাদের দাবি, আপাতত ৩ থেকে ৫ শতাংশ গাড়ি চালানো হবে। মূলত নিচু ক্লাস আপাতত বন্ধ আছে তাই বেশি পড়ুয়া স্কুল বাসে উঠবে না বলে মনে করছেন তারা। এছাড়া যেসমস্ত ক্লাসের পড়াশোনা শুরু হয়ে গেছে অনলাইনে তার অধিকাংশেরই পরীক্ষা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে। সেই কারণেই তারা অনুমান করেছেন যে আদৌ কত শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে যাবে। তারা এটাও বলেছেন যে, কোভিড পরিস্থিতিতে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানকে স্কুল বাসে তুলতে নাও চাইতে পারেন। তাই আগামীকাল স্কুল খোলার পর ছাত্রছাত্রীর মোট উপস্থিতি বোঝা যাবে।
স্কুল বাস সংগঠনের সঙ্গে যে সমস্ত মহিলারাও যুক্ত ছিলেন যারা মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের গাড়িতে উঠতে বা নামতে সাহায্য করতেন তাঁরাও অনেকে অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। এরই মধ্যে গাড়ির ইন্সিওরেন্স ফিটনেস সার্টিফিকেট সহ একাধিক খরচ হয়েছে। তার ফলে বহু সংগঠন চাইছে ভাড়া বাড়ানো হোক যদিও এ ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে অভিভাবকদের। আগামীকাল স্কুল শুরু হওয়ার পরেই বোঝা যাবে আসল বিষয়বস্তু।
আপাতত এখন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাই মূলত স্কুলে যাবে। এরপর ধাপে ধাপে বাকিদের ক্লাসও শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা দফতর জেলাগুলিতে নির্দেশ দিয়েছেন, কি ভাবে স্কুল খুলতে হবে। এছাড়াও স্কুল শিক্ষা দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে সেসব কিছু বিদ্যালয়গুলিকে নোটিশও জারি করতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একটি শয্যাযুক্ত আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থা রাখতে হবে কারণ হঠাৎ যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন তাকে সেখানে যথাসম্ভব স্থানান্তরিত করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও উল্লেখ রয়েছে, যাতে কারও জ্বর এলে বা অসুস্থ হলে প্রাথমিক ভাবে তাঁরা যেন তাদের সামলাতে পারে।