KMC: পুরভোটের কয়েকদিন আগেই উত্তপ্ত রাজনীতি, সংঘর্ষে জখম আট

Kmcআগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা(Kolkata) পুরসভায়(Municipal) পুরভোট(Municipal Polls)। আর ঠিক তারই আগে বেশ সরগরম রাজনীতি(Politics)। টিএমসি(TMC) এবং এসএফআই(SFI) সমর্থকদের(Supporters) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো হুগলীর(Hooghly) উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজ। বৃহস্পতিবার কলেজ(College) চত্বরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ওই দুই ছাত্র(Student) সংগঠনের(Union) সদস্যেরা। সংঘর্ষের কারণে জখম হয়েছে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন।
এই পরিস্থিতি সিপিএম ছাত্র সংগঠন(CPM Student Union) এসএফআই(SFI)-এর অভিযোগ(Alegations), কলেজের সামনে দিয়ে তাঁদের মিছিল যাওয়ার সময় মারধর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ(TMCP)। বৃহস্পতিবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং হুগলীতে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে উত্তরপাড়া স্টেশন থেকে উত্তরপাড়া কলেজ স্ট্যান্ড চত্বর পর্যন্ত মিছিল করে এসএফআই(SFI)। মিছিল শেষে ছিল সভাও। সংগঠনের অভিযোগ, সভার পিছনে থাকা কয়েকজনকে তুলে নিয়ে এসে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। যদি টিএমসিপি সমর্থকদের(TMC Supporter) পাল্টা অভিযোগ, এসএফআই সমর্থকরাই(SFI Supporter) কলেজে ঢুকে অশান্তি পাকিয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে সাত-আট জন জখম হয়েছেন। তাঁদের আপাতত উত্তর পারা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে(State General Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলেজের একাংশের পড়ুয়ার পরীক্ষা(Exam) চলছিল। আর সেই সময়ই এই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সূচনা ঘটে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা কলেজ(College) চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় উত্তরপাড়া পুলিশ। যুযুধান দু’পক্ষকে সামাল দেয় বাহিনী।
আরও পড়ুন…Kmc Election 2021: সমস্ত বুথ জুড়ে বাড়ছে নিরাপত্তা, পুরভোটে নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতির মতোই সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আসন্ন ১৯ তারিখ কলকাতা পুরসভায় বেজে উঠেছে ভোটের নির্ঘণ্ট। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়েই বিরোধী ও শাসক দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে খানিক চাপানউতোর পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে, কলকাতা হাইকোর্টে পুরভোট নিয়ে চলা মামলার রায়ে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, কলকাতা পুরভোটে কোনোরকম স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি, রাজ্যের বাকি ১১১টি পুরসভার দ্রুত ভোট চার হাইকোর্ট। যথা তাড়াতাড়ি সম্ভব ও কম দফায় এই ভোট করাতে হবে বলে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনকে একটি রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত। মামলার আগামী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৩ ডিসেম্বর।