RECLAIM CAMPUS: যাদবপুরের নবান্ন মিছিলে ধুন্ধমার, পুলিশের হাতে গ্রেফতার বহু প্রতিবাদী পড়ুয়া
ধিকি ধিকি আগুনটা জ্বলছিল বিগত কয়েক মাস ধরেই। করোনা ফাঁস আলগা হতেই ফের ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন চলছিল যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। এবার তা এসে পড়ল রাজপথে। ফের ক্যাম্পাস খোলার ডাক দিয়ে চলতি সপ্তাহেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল যাদবপুর। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বুধবার দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় সেই মিছিল। এবার সেই মিছিলেই বেঁধে গেল ধন্ধুমার।
নবান্নরে কাছাকাছি আসতেই প্রতিবাদী পড়ুয়াদের মিছিল আটকায় পুলিশ। এমনকী ছাত্ররা ডেপুটেশন দিতে চাইলে তাতেও বাধা দেওয়া হয় বলে জানানো হয়। এদিকে রাত পোহালেই শুরু হয়ে যাবে ভবানীপুরের উপ নির্বাচন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি চাপা উত্তেজনা রয়েছে প্রশাসনিক মহলেই। ভোটের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে। আর সেকারণেই যাদবপুরের ছাত্রদের ডেপুটেশন নেওয়ার জন্য নবান্নে কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক উপস্থিত নেই বলে জানানো হয় পুলিশের তরফে।
যদিও শুরুতে পুলিশের সঙ্গে আলোচনার রাস্তায় হাঁটালেও পথ আটকাতেই নতুন করে জ্বলে ওঠে বিক্ষোভের আগুন। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে ছাত্ররা নবান্নের দিকে এগোতেই বেঁধে যায় পুলিশ ছাত্র খণ্ডযুদ্ধ। চলতে থাকে স্লোগানিং। আর তখনই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদের চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার সহ একাধিক ছাত্র নেতাকে গ্রেফতারও করা হয় বলে খবর। বর্তমানে প্রায় ৪৮ থেকে ৫০ পড়ুয়াকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এদিনের নবান্ন অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছে মূলত যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংসদ। লড়াইয়ের সঙ্গী ছিল কলা বিভাগের ছাত্র সংসদও।
এদিকে ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, পড়ুয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবিও দীর্ঘদিন থেকে জানিয়ে আসছিল পড়ুয়ারা। এদিন সেই দাবিও সামনে রাখা হয় নতুন করে। অন্যদিকে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের যাতে দ্রুত করোনা টিকা দেওয়া হয় সেই দাবিও নতুন করে সামনে রাখা হয়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পড়ুয়াদের তরফে উচ্চশিক্ষা দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফেও।