বৃথা যাবে না মনস্কামনা! হনুমানজির এই মন্দিরে এলে পূর্ণ হবে আপনার যে কোনও ইচ্ছা

দেশ জুড়ে বজরংবলীর ভক্ত সংখ্যা অগুনতি। যেমন তাঁর হৃদয়ে আজও রাম-সীতার বাস। তেমনই প্রায় প্রতিটি ভারতীয়র বুকে যেন আজও বজরংবলী হনুমানের বাস। সেই শ্রদ্ধার কারণেই হয় তো আজ দেশের এমন কোনও প্রান্ত নেই, যেখানে বজরংবলী হনুমানের মন্দির ( Bajrangbali Hanuman Mandir ) নেই। সমস্ত জায়গাতেই ছোট-বড় অন্তত একটি হলেও তাঁর মন্দির রয়েছে। এর মূল কারণ তাঁর প্রতি মানুষের আস্থা। তাঁর অস্তিত্বের প্রতি মানুষের বিশ্বাস।
বজরংবলী হনুমানের কীর্তির শেষ নেই। ভক্তদের জন্য তিনি সর্বদাই করুণাময়। আর তাঁর শক্তি, সেটা অপরিসীম। ভক্তকে সঠিক পথে চালনা করা, ভক্তের বিপদে তাঁর পাশে থাকা এই সব কিছুর নিশ্চয়তাই বজরংবলী হনুমান ( Bajrangbali Hanuman )। তাঁকে মন দিয়ে ডাকলে কোনও ভক্তকেই ফেরান না তিনি। তাঁর এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই হয় তো আজ ভারতের নানা প্রান্তে তাঁর মন্দির আছে। যেখানে গেলে কখনই ভক্তের ইচ্ছা বিফলে যায় না। তবে এই সকল মন্দিরের মাঝে আজও একটি মন্দির ভক্তদের কাছে ভীষণ প্রিয়। ভক্ত যেখানে নিজের মনস্কামনা নিয়ে গেলে তা কখনই ব্যর্থ হয় না।
মন্দির মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া রাজাদের কর্মভূমি ইন্দোরের বাসিন্দাদের ধর্মের প্রতি টান বরাবরই। সেই ইন্দোর শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে হনুমানজির এক মন্দির। যা অত্যন্ত জাগ্রত বলেই দাবি ভক্তদের। সানোয়ার গ্রামের এই মন্দিরের আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এখানে হনুমানজি রয়েছেন উলটো রূপে। আর সেই ভাবেই এখানে তাঁর পূজা করা হয়ে থাকে। স্থানীয়দের বিশ্বাস তিন থেকে পাঁচটি মঙ্গলবার উলটো হনুমানজির এই মন্দির দর্শন করলে জীবনের সমস্ত দুঃখ, কষ্ট দূর হয়ে যায়। আর, তাঁর মূর্তিকে যদি ছোলা দেওয়া হয়, তা হলে সম্পূর্ণ মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এই মন্দিরের সঠিক বয়স কেউই জানে না, তবে এই টুকু জানা গিয়েছে যে এই মন্দিরটি অনেকবার সংস্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয়দের বিশ্বাস অহিরাবণ বধের সময় এই মন্দির বর্তমান অবস্থা থেকে পাতাললোকে ঢুকে গিয়েছিল। সেই সময় হনুমানজির মাথা ছিল নীচের দিকে এবং পা উপরের দিকে। সেই স্মরণেই এখানকার হনুমান মূর্তির মাথা নীচের দিকে। এই হনুমান মূর্তিকে বাসিন্দারা বলে থাকেন উলটো হনুমান। আর ভক্তদের কাছে তাঁর এই মন্দির পরিচিত, ‘শ্রীশ্রী পাতাল বিজয় উলটে হনুমান’ মন্দির নামে।