দেশের ব্যস্ততম ভুতুড়ে স্টেশন লুধিয়ানা জংশন! রাতের অন্ধকারে ঘটে গায়ে কাঁটা দেওয়া ঘটনা

লুধিয়ানা জংশনে প্রায়শই ঘটছে অদ্ভুত সব কার্যকলাপ, নেপথ্যে কারণ কী?

পূর্বাশা, হুগলি: ভূতের গল্পের পাতায় ‘ভূতুড়ে স্টেশন’ শব্দবন্ধনীর উল্লেখ আমরা সবাই পেয়েছি। রাতের অন্ধকারে শেষ ট্রেনে স্টেশনে নামা, ধোঁয়া ধোঁয়া অন্ধকারে একা লন্ঠন হাতে বৃদ্ধ স্টেশন মাস্টার আর তার পথ নির্দেশ। মনে পড়ে সাবধানবাণী ‘খবরদার একা যাবেন না ওখানে, সামনে বিপদ থাকতে পারে’। অথচ লেখক সব অগ্রাহ্য করেই রিক্সা খুঁজতে এগিয়ে নিতান্তই পেয়ে গেলে ভালো, না হলে একা হেঁটেই রওনা দেন গন্তব্যে। আর সেই যাওয়ার পথে নাহলে গন্তব্যে পৌছেই ভূতের দর্শন পান লেখক অথবা গল্পের চরিত্র। এভাবেই মেলে ভূতের গল্পে রোমাঞ্চ। প্রায় সব ক্ষেত্রে ভুতুড়ে স্টেশন হয় শান্ত, নিরিবিলি।কিন্তু যদি বলি ‘ব্যস্ততম ভুতুড়ে স্টেশন’? অবাক লাগছে নিশ্চয়ই? ঠিকই বলছি মশাই। এমন রেলওয়ে স্টেশনের অস্তিত্ব রয়েছে আমাদের ভারতবর্ষেই।

India,Punjab,Haunted,Haunted Story,Railway station,Ludhiana

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের লুধিয়ানা জেলায় থাকা একটি রেলওয়ে স্টেশনকে ভুতুড়ে বলে দাবি করা হয়। এই স্টেশন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং পাঞ্জাবের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে একটি। জানা যায়, এই রেলওয়ে স্টেশনে রয়েছে ভূতের উপদ্রব। ইতিহাস বলছে, ২০০৪ সালে সুভাষ নামের এক পূর্ববর্তী কম্পিউটার রিজার্ভেশন সিস্টেমের আধিকারিক এই স্টেশনে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয়দের কথায়, তিনি ছিলেন একজন কাজপাগল মানুষ। তাই মৃত্যুর পরও তিনি নিজের কর্মক্ষেত্র ছেড়ে যেতে পারেননি। মাঝেমধ্যেই তিনি আসেন তাঁর রিজার্ভেশন সেন্টারের অফিসে।বেশ কিছুজন তার প্রত্যক্ষ প্রমাণও পেয়েছেন।

India,Punjab,Haunted,Haunted Story,Railway station,Ludhiana

স্বাভাবিকভাবেই এই স্টেশনের ভুতুড়ে কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বহু আগ্রহী জনগণ ভিড় জমাচ্ছেন স্টেশন চত্বরে। লেখালেখিও চলছে ‘লুধিয়ানা ভুতুড়ে স্টেশন’ বিষয়ে। ইতিমধ্যে দেশের নামকরা ভুতুড়ে স্টেশনের তালিকায় নাম তুলেছে পাঞ্জাবের ব্যস্ততম লুধিয়ানা জংশন।




Leave a Reply

Back to top button