Tirupati Tirumala Temple: তিরুপতির এই মন্দির আপনাকে এনে দেবে জীবনের সব সুখ! বদলে দিতে এই সামান্য জিনিসটা

ভারত নানা ধর্মের পীঠস্থান। এই নানা ধর্মকে সম্মিলিত করেই আজকের ভারতবর্ষ। যেখানে রয়েছে নানা মন্দির, মসজিদ, গির্জা আরও কত কিছু। সকলেই নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যে একেবারে সমৃদ্ধি। কোনও মন্দির যেমন আজও বলে দিতে পারে দৈনিক আবহাওয়া আবার অন্যদিকে, কোনও মসজিদে রান্না হওয়া খাবার ধর্মীয় বিভেদকে উপেক্ষা করে পরিবেশিত হয় এলাকার প্রতিটি ঘরে। ধর্ম সংক্রান্ত একাধিক ঐতিহ্যের বাহার রয়েছে আমাদের দেশে। 

যেমন দক্ষিণে রয়েছে মন্দিরের ( Temple ) বাহার। ঐতিহ্য, শিল্পকলায় সমৃদ্ধ একাধিক মন্দিরকে ঘিরেই দক্ষিণ ভারত। প্রতিটি মন্দিরই একে অপরের থেকে ভীষণ ভাবে আলাদা এবং প্রতিটি মন্দিরেই রয়েছে নিজস্ব কিছু ঐতিহাসিক প্রথা। যা পালন হয়ে চলেছে আজও। এই রকমই কিছু দক্ষিণী মন্দিরের ( South Indian Temple ) মধ্যে অন্যতম তিরুপতি বালাজির মন্দির ( Tirupati Tirumala Temple )। ভক্তরা বলেন দেশের সবচেয়ে ধনী মন্দিরগুলির মধ্যে একটি এই বালাজি মন্দির ( Balaji Temple )। প্রতি বছর এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি ভক্তের আনাগোনা। যাদের মধ্যে দৈনিক ২০ হাজারেরও বেশি ভক্ত ঈশ্বরের আরাধনায় ও নিজেদের মনোস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে এই মন্দিরে এসে চুল দান করে যায়। শুধুই পুরুষ নয়! আসেন মহিলা ভক্তরাও। ঈশ্বরের কাছেই নিজেদের রূপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে ত্যাগ করে যান তারা। দৈনিক হাজার হাজার ভক্তদের জন্য মন্দিরেই উপস্থিত থাকেন ৫০০ জন নাপিত। দান করা সেই চুল নিজ দেশ ছেড়ে পাড়ি দেয় দেশ-বিদেশে। কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি জাহির  করার এ কেমন নিয়ম? কোন কারণেই বা নিজেদের রূপের এক বিরাট অঙ্গকে ত্যাগ করে দেন ভক্তরা?

tirumala (1)

পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, তিরুপতি এই এলাকা ছিল বালাজির তপস্যাস্থল। এতদিন যাবৎ ধরেই এই তপস্যা চলত যে ধীরে ধীরে তাঁর শরীরকে ঘিরে পিঁপড়েরা মাটির ঢিপি তৈরি করে ফেলে। তাঁর সেই করুণ পরিস্থিতিতে দেখে একটি গরু রোজ তাঁকে এসে দুধ পান করাত। আসলে ওই গোরুটি ছিল স্থানীয় রাজার। গরুর এই দুধ পান করানোর ঘটনা হটাৎ একদিন রাজার এক কর্মচারীর চোখে পড় এবং রাজকর্মচারী গোরুটিকে মারার চেষ্টা করেন। অবলা প্রাণীর প্রাণ যাবে দেখে গোরুটিকে বাঁচাতে গিয়ে বালাজি আঘাত আনেন নিজের ওপর। তার মাথায় আঘাত লাগে এবং তার সমস্ত চুল পড়ে যায়। এতে তার মা খুব দুঃখ পান। ছেলের মাথা আবার চুলে পরিপূর্ণ করাতে তিনি নিজের চুল কেটে ফেলেন। সেই চুল রাখা হয় বালাজির মাথায়। এতে বালাজির যাবতীয় ক্ষত সেরে যায়। এই সময় তিনি মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘চুল শরীরকে সৌন্দর্য দেয়। তবুও নিজের কথা না-ভেবে আপনি আমার জন্য সেই চুলও ত্যাগ করলেন। এবার থেকে যাঁরাই আমার জন্য চুল ত্যাগ করবে, তাঁদের সকলের মনের ইচ্ছা পূরণ হয়ে যাবে।’

tirumala (2)

উল্লেখ্য, আসলে নানা মুনির নানা মত। তেমনই অন্য একটি প্রচলিত কাহিনিতে বলা হয় যে, বালাজি তার বিয়ের জন্য কুবেরের থেকে এক কোটি স্বর্ণমুদ্রা ধার করেছিলেন। সেই ধার শোধ করতে ভক্তরা মন্দিরের দানপাত্রে অর্থ দান করেন। সঙ্গে, চুলও দান করেন। যে চুল বিক্রি করে পাওয়া অর্থ বালাজির ধার শোধের কাজেই লাগানো হয়। ভক্তদের ধারণা, যাঁরা এখানে চুল দান করেন, তাঁদের পাপ এবং সমস্ত খারাপের অবসান ঘটে। ওই ভক্তের প্রতি ভগবান সর্বদা কৃপাদৃষ্টি বজায় রাখেন। ভক্ত যতটা চুল দান করেন, ভগবান তার ১০ গুণ ধনসম্পত্তি ভক্তকে পাইয়ে দেন।




Leave a Reply

Back to top button