একে অন্যকে ‘নাম’ ধরে ডাকে হাতিরাও, অবিকল মানুষের মতো, চমকে দেওয়া গবেষণা প্রকাশ্যে

জীবকুলে একজনের সঙ্গে আরেক জন যোগাযোগ করতে গন্ধ, শব্দ ইত্যাদি ব্যবহার করে। এমনকী গাছেরাও এই পদ্ধতি মানে।

একজন মানুষ আরেক জন মানুষকে কীভাবে ডাকে? পরিচিত হলে নাম ধরে। অপরিচিত হলে ‘দাদা’ কিংবা ‘ভাই’ বলে। মনুষ্যসমাজে এভাবে ডাকাটাই দস্তুর। কিন্তু একটা হাতি যে আরেকটা হাতিকে নাম ধরে ডাকে সেটা কি জানেন? সম্প্রতি গবেষণায় সামনে এসেছে এই তথ্য।

জীবকুলে একজনের সঙ্গে আরেক জন যোগাযোগ করতে গন্ধ, শব্দ ইত্যাদি ব্যবহার করে। এমনকী গাছেরাও এই পদ্ধতি মানে। কিন্তু হাতিরা যে নাম ধরে ডাকতে পারে তা জানা গেল কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায়।

Language,Elephants,Name

জানা গেছে, হাতিদের দেওয়া ‘নাম’, একেক ধরণের শব্দ। প্রত্যেক হাতির ক্ষেত্রে এই শব্দ আলাদা অর্থাৎ আলাদা আলাদা নাম। নির্দিষ্ট কোনও শব্দ, নির্দিষ্ট কোনও হাতিকে ডাকার জন্যই ব্যবহার হয়। সোজা কথায়, দলের সদস্যদের নাম দেওয়ার চল রয়েছে হাতিদের মধ্যেও।

কেনিয়ার দুটি এলাকার বন্য হাতিদের নিয়ে গবেষণা চালান কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। হাতিদের কন্ঠস্বর এবং ডাক পরীক্ষা করে দেখা হয়। প্রায় ৬২৫টি ডাক রেকর্ড করেন গবেষকরা। দেখেন, এই ডাক হাতিরা বুঝতে পারছে এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়াও দিচ্ছে।

তাহলে কি হাতিদের নিজস্ব ভাষা আছে? গবেষকরা বলছেন, এটাকে ঠিক ভাষা বলা যায় না। তবে যোগাযোগের মাধ্যম তো বটেই। এ থেকে হাতিদের সামাজিক কাঠামোরও আভাস পাওয়া যায়। গবেষকরা ১৭টি হাতির ডাকের রেকর্ড এবং প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।




Leave a Reply

Back to top button