Jadavpur University : গা ছমছমে যাদবপুর! রাত ঘনাতেই লিফটের ভিতরে রহস্যময়ী কণ্ঠে ও কে?

‘জানি এখানেই, এই যাদবপুরের গায়ে, কত বয়স মিশে যায়…. ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে এই গানটি হয় তো চিরজীবিত। গানের স্রষ্ঠা আজ আর এই ধরিত্রীর বুকে না থাকলেও বেঁচে আছে তাঁর লেখা সেই অমর গান। আজও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি পাতায় জ্বলজ্বল করছে এই গানের প্রতিটি লাইন। পড়ুয়াদের মুখে মুখে এই গান সর্বদা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাদবপুরের দেওয়ালে দেওয়ালে আজও পাল্টে দেওয়ার আওয়াজ। 

৪ নম্বর গেট যেন যাদবপুরের পড়ুয়া ও বাইরের ছেলেমেয়েদের কাছে এক অতিব পরিচিত জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া না হয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মধুর স্মৃতি তৈরি করেছে কত শত ছেলেমেয়ে। তাই ‘কোথায় আছিস বন্ধু? চার নম্বর গেট!’ এটা যেন এক প্রকার খুবই স্বাভাবিক। এই গেট দিয়ে ঢুকে কিছুটা এগিয়ে যেতেই সামনে ওয়েটি। প্রতিদিনের আড্ডা এবং গান বাজনায় মিলেমিশেই তৈরি এই জায়গা। কিছু সপ্তাহ আগেই আবার এখানেই ‘অবেলায়’ মেতে উঠেছিল পড়ুয়ারা। গিটার, ড্রামের সুরে যখন মেতে উঠেছিল শিরোনামহীনের প্রতিটি গান। তখন একটু দূরে সাংবাদিকতা বিভাগের দিকেও যে কেউ সুর তুলেছিল তা খেয়ালে আসেনি কারোর। 

jadavpur

আসলে ওই একদিন নয়! সে আজও প্রতিদিন সুর তোলে। প্রতিদিন গান গায়। সাংবাদিকতা বিভাগের পাশ দিয়ে গেলেই যেন কানে আসে সেই সুর। কানে আসে বাদ্যযন্ত্রের শব্দ। একটা রহস্যময়ী কন্ঠ যেন তার দিকে টানে। প্রতি মুহূর্ত মনে হয় যেন এক ছুটে চলে যাই সেই রহস্যময়ীর কাছে। তার কন্ঠে যেন অপার মায়া। যে কেউ ভুলে যেতে পারে এই বাস্তব জগৎকে। কিন্তু কে সে?

jadavpur

আজও এই পৃথিবীর বুকে সে যেন একা, নিঃসঙ্গ। আর সেই  একাকীই যেন প্রকাশ পায় তাঁর কন্ঠে। শোনা যায়, সাংবাদিকতা বিভাগের ভবনে আগে সঙ্গীত বিভাগ ছিল, সেখানেই এককালে একটি ছাত্রী হটাৎই আত্মঘাতী হয়ে পড়েছিল। মৃত্যুর কারণ আজও অজানা। পড়ুয়াদের মধ্যে নানা চর্চা ও জল্পনা তৈরি হয় ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তবে এই সব কিছুর মধ্যেও অনেক পড়ুয়ার মতে, কোনও রহস্যময়ী নয়। গানটি আসলে লিফ্টের যান্ত্রিক গণ্ডগোলের কারণে হয়ে থাকে। সব আলো নিভে গেলেও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে লিফট বন্ধ করা হয় না। সেই কারণেই এক ধরণের সুরেলা ধ্বনি রাতের দিকে ভবনের পাশ দিয়ে গেলেই শুনতে পাওয়া যায়। তবে এই যুক্তির উপরও  একাধিক তর্ক রয়েছে। অনেকের মতে, সেখানে হয় তো কিছু রহস্য থাকতেই পারে কিন্তু তা কখনই ক্ষতিকর নয়।




Leave a Reply

Back to top button