Viral News: “রোবট মা খাইয়ে দেয় বিশেষ সক্ষম মেয়েকে”, দিনমজুর বাবার আবিষ্কারে আশ্চর্য পৃথিবী

যন্ত্রের কি হৃদয় থাকে! জড় পদার্থের মতোই পড়ে থাকে সে। অনুভূতি হারিয়ে মানুষও যন্ত্র হয়ে যায়। কিন্তু যন্ত্রের মাতৃত্ব! তা আবার হয় নাকি! সেই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন দিনমজুর। নিজের বিশেষ সক্ষম শিশুটির জন্য অসাধ্য সাধন করলেন বাবা। এনে দিলেন যন্ত্র মা। ভাবছেন, কীভাবে?
বিশেষ ভাবে সক্ষম মেয়ে নিজের হাতে খেতে পারে না। স্ত্রী শয্যাশায়ী। আগে তিনিই মেয়েকে খাইয়ে দিতেন। দীর্ঘ দিন বিছানায় পড়ে থাকার পর থাকার পর সেই ক্ষমতাও হারিয়েছেন তিনি। তাহলে কি অভুক্ত থাকবে মেয়ে? বাবার প্রাণে কি সেই ব্যাথা সয়! মেয়েকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য তাই রোবট বানিয়ে ফেললেন দিনমজুর বাবা। কোনও রকম প্রযুক্তিগত বা কারিগরি বিদ্যা ছাড়াই তিনি মিরাকেল ঘটিয়ে ফেললন।
দিনমজুর বিপিন কদম গোয়ার বাসিন্দা। ১৪ বছরের মেয়ে হাত টুকুও নাড়াতে পারে না। বর্তমানে বিপিনের স্ত্রীও অক্ষম। স্ত্রীর কষ্ট লাঘব করার উপায় খুঁজছিলেন বিপিন। মেয়েকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য তাই একটি রোবট বানিয়ে ফেলেছেন। খাবার খেতে এখন আর কারও সাহায্য দরকার হয় না মেয়েটির।
‘মা রোবট’ এখন তার দিবারাত্রের সঙ্গী। অনুভূতি হীন যন্ত্র যে এতটা বড়ো কাজ করতে পারে তা কী ভাবতে পারা যায়! তাঁর কীর্তিকে স্বীকৃতি দিয়েছে গোয়া স্টেট ইনোভেশন কাউন্সিল। মায়ের মতো করেই বিপিনের মেয়েকে এই রোবট খাইয়ে দেয়, আংশিক ভাবে মা হয়ে উঠেছে এই রোবট।
কীভাবে ‘মা রোবট’ খাইয়ে দেন?
রোবটটির মধ্যেই একটি থালা বসানো রয়েছে। তাতে খাবার রাখা থাকে। মেয়েটি তার সামনে মুখ নিয়ে গিয়ে জানায় সে কী খেতে চায়। তার পর সেই খাবার মুখে এগিয়ে দেয় রোবট। মেয়ে ও স্ত্রীকে কষ্টের হাত থেকে বাঁচানোর তাগিদে যন্ত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন বিপিন। প্রথমে তিনি এমন কোনও রোবট খুঁজছিলেন যা মেয়েকে খাইয়ে দিতে পারবে। কিন্তু তেমন কিছু না পেয়ে নিজেই রোবট তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। মুঠো ফোনকে অস্ত্র বানিয়ে ফেলেন। ধীরে ধীরে সংগ্রহ করেন যাবতীয় তথ্য ও পদ্ধতি। একবছর ধরে দিন রাত এক করে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন ‘মা রোবট’ বানানোর। নিজের তৈরি এই রোবটটি আরও বানিয়ে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে চান বিপিন কদম।