Mia khalifa : চলে গেলেন মিয়া খালিফা! উত্তাল নেট জগৎ

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: লেবানিজ – আমেরিকান একজন নীল সিনেমা অভিনেত্রী মিয়া খলিফা ( mia khalifa )। মিয়া খলিফা ( mia khalifa ) নামটি কমবেশি অনেকের কাছেই নীল সিনেমার তারকা হিসেবে পরিচিত। তবে আজকাল তাকে নিয়েই চলছে তার মৃত্যুর ভুযয়ো সংবাদ। যদিও ভুল ভেঙে দিয়েছে মিয়া খালিফারই ( mia khalifa ) করা এক টুইট। যেখানে তিনি একটি মিম শেয়ার করে জানিয়েছেন, ‘ আমি এখনো বেঁচে আছি, এখনো সুস্থ আছি ‘। চলুন আজ জেনেনিন তাঁরই জীবন সম্পর্কে কিছু কথা।
Mia khalifa: কে এই মিয়া?
১৯৯৩ সালে লেবাননে খুব রক্ষণশীল পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন মিয়া খালিফা ( mia khalifa )। প্রথমে বৈরুতে তিনি একটি ফরাসি ভাষার প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি হন যেখানে তিনি ইংরেজি ভাষা শেখেন।এরপর দক্ষিণ লেবানন সংঘাতের ফলে ২০০১ সালে তাঁকে তাঁর পরিবারের সাথে চলে আসতে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডৈর মন্টগোমারি কাউন্টিতে।
Mia khalifa : মিয়ার পড়াশুনা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর শুরু হয় তার পড়াশোনা। প্রথমেই খালিফা ( mia khalifa ) একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাকলোজ খেলার শুরু করেন, যেখানে তাকে সবচেয়ে অন্ধকার এবং অদ্ভুত মেয়ে বলে উত্তপ্ত করা হত। এরপর তিনি ভার্জিনিয়ার উডস্টকের ম্যাসানুটেন মিলিটারি একাডেমিতে যোগদান করেন এবং পরে এল পাসো টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ সহ স্নাতক হন। পড়া শেষ করে স্থানীয় এক স্প্যানিশ গেম শো তে বারটেন্ডার, মডেল এবং ‘ব্রিফকেস গার্ল’ হিসেবে কাজ করার মাধ্যমেই সেখানে নিজেকে সমর্থন করেছিলেন তিনি।
Mia khalifa : নিন্দায় ব্লু ফ্লিম অভিনেত্রী মিয়া
২০১৪ সালের অক্টোবরে মিয়াখালিফা পেশাদারী ভাবে প্রবেশ করেননি সিনেমা জগতে। ব্যাংব্রোস থেকে সন ললেস এবং জুলিয়ানা ভেগার সাথে থ্রিসামের সময় হিজাব পড়ে থাকার এক দৃশ্য প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক জনপ্রিয়তা লাভ করেন খালিফা ( mia khalifa ) ।একই সাথে লেখক এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সমালোচনায় তার বাবা মা তাকে প্রকাশ্যে অস্বীকার করেন। এ ঘটনার পর হঠাৎই সবাই তাঁকে খুঁজেছিলেন। তার ওই ভিডিওতেই ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ সহ , ২২ বছরের খালিফা হয়ে উঠেছিলেন প্রাপ্ত বয়স্কদের ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট নীল সিনেমার সবচেয়ে বেশি সার্চ করা পারফর্মার। জনপ্রিয়তা লাভের পর অনেকবার অনলাইনে মৃত্যুর হুমকি ও পেয়েছেন তিনি। লেবাননে সংবাদপত্রে খালিফাকে নিয়ে লেখা হতো সমালোচনামূলক নিবন্ধ, যা খালিফা সেই দেশের অন্যান্য ঘটনার কারণে তুচ্ছ বলে মনে করতেন।
Mia khalifa: সমর্থন
একই সাথে তাঁর কাজে সমর্থন করেই প্রকাশ্যেই কথা বলতেন অনেকেই। তাদের মধ্যেই একজন হলেন ব্রিটিশ লেখক নাসির আতাল্লাহ। ২০১৫ সালেই আলমাজা নামক একটি মদ কারখানায় খালিফার স্বাক্ষরযুক্ত চশমার পাশে তাদের বিয়ারের বোতল দেখিয়ে একটি বিজ্ঞাপন চালান যেখানে স্লোগান ছিল, ‘ আমরা দুজনেই ১৮+ রেট পেয়েছি ‘। এরই সাথে পপ ব্যান্ড টাইমফ্লাইস খলিফার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মিয়া খলিফা’ ( mia Khalifa ) শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি নীল সিনেমার জগত থেকে বেরিয়ে আসেন।
Mia khalifa : নীল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের তাঁর উপার্জন
মিয়া খালিফা ( mia khalifa ) নিজেই জানান তিনি প্রতিটি নীল সিনেমা থেকে ১০০০ ডলার করেই মোট ১২০০০ ডলার উপার্জন করেছেন। যদিও নীল সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তরফের জানানো হয়েছে ২০১৯ সালের অনুমান অনুযায়ী ইউটিউব এর মত বিজ্ঞাপন প্রচার এর ভিউয়ের উপর ভিত্তি করে তিনি যদি নীল সিনেমা জগতের অংশীদারি হতেন তবে তিনি ৫০০,০০০ ডলারের বেশি উপার্জন করতে পারেন।
Mia khalifa : অন্যান্য কাজ
২০১৬ সালের নভেম্বরে একটি পিটিশনে সৌদি আরবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক খলিফাকে ( mia khalifa ) নিযুক্ত করার আহ্বান জানান।২০২১ সালে ব্রাজিলের কভিড-১৯ মহামারীর CPI- তে সিনেটার লুইস কার্লোস হেইঞ্জ উল্লেখ করেছেন যে একটি কভিড চিকিত্সা হিসাবেক্লোরোকুইনের কার্যকারিতা নিয়েই দ্য ল্যানসেট এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা এমন একটি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল যা বিক্রয় ব্যবস্থাপক ছিলেন একজন নীল চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। জবাবে র্যান্ডলফ রড্রিগেস মজা করে মিয়া খলিফা ( mia khalifa ) -কে ডেকে আনার প্রস্তাব দেন। সেই মিম এর জবাবে খলিফার টুইট করে লিখেন , ‘ আমি একজন ডাক্তার নই তাই আপনি হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া আমার সম্পর্কের নকল মিমস থেকে চিকিৎসা পরামর্শ নেবেন না’।