Howrah Bridge : নিঝুম রাতে কে যেন হেঁটে বেড়ায়! হাওড়া ব্রিজের এই ঘাটে আজও পা বাড়াতে ভয় পায় শহরবাসী

বাংলাদেশের পদ্মা সেতু যেমন সেখানকার বাঙালিদের জন্য আবেগ তাড়িত একটি বিষয়। তেমনই এপার বাংলার শহর কলকাতা রবীন্দ্র সেতু বা বলা চলে হাওড়া ব্রিজ এদিকে বাঙালির কাছে আজও আবেগ তাড়িত একটি বিষয়। পদ্মা সেতুর তুলনায় এমন একটি উদাহরণ হতে পারে অনেক ছোট কিন্তু আবেগের কোনও আকার হয় না। ১৮৭৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের বুকে তৈরি এই ব্রিজ আজও বাঙালির কাছে অনেক আবেগের। স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত এই ব্রিজের নাম ছিল হাওড়া ব্রিজ ( Howrah Bridge )। স্বাধীনতার পর ১৯৬৫ সালে এই ব্রিজের নাম হয়ে যায় রবীন্দ্র সেতু।
আপাতত বিশ্ব ষষ্ঠ বৃহত্তম সেতু হিসাবেই পরিচিতি লাভ করেছে এই রবীন্দ্র সেতু বা হাওড়া ব্রিজ। ১৯৬৫ সালে নামকরণ হলেও এখনও মানুষের মুখে মুখে এটি হাওড়া ব্রিজ নামেই খ্যাত। সকালে যানজট ও রাতে বাড়ে এই ব্রিজের সৌন্দর্য। নানা রকমারী আলোয় ভরে ওঠে হাওড়া ব্রিজ। মূলত দুুই পাড়ের সংযোগের মধ্যে দিয়ে বাণিজ্য স্থাপন এই ছিল হাওড়া ব্রিজ তৈরির মূল লক্ষ্য। আর সেই উদ্দেশ্যকে সাধন করতেই তৈরি হয় হাওড়া ব্রিজ। যা আজও ক্রমাগত ভাবে এই ধরিত্রীর বুকে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
তবে এই হাওড়া ব্রিজের উপরি ভাগ যতটা জাঁকজমকে ভরা। ঠিক তার নিম্নবর্তী পরিসর ততটাই যেন অন্ধকারে নিমজ্জিত। সকালে হাওড়া ব্রিজের নীচে থাকা গঙ্গার ঘাটে যতটা পরিপূর্ণ থাকে, সন্ধ্যা হতেই ততটা একলা হয়ে যায়। যেন এক নিঃসঙ্গতা ঘিরে ধরে এই ব্রিজের নীচের ঘাটকে। সূর্য ডুবতেই তৈরি হয় একটা গা ছমছমে ভাব তৈরি হয় এই ঘাটে। জনশূন্যতা সেই অদ্ভুত অনুভূতিকে যেন আরও ইন্ধন দেয়। ওপরের দিকে আলো ঝলমলে ব্রিজটি দেখা গেলে, তার নীচের দিকে একেবারে জনশূন্য এলাকা। কিন্তু কেন? কেনই বা সূর্য ডুবতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় ওই এলাকায়?
এই সকল প্রশ্নের উত্তর সত্যি বলতে আজও অজানা। নানা জনের নানা মত। তবে বেশিরভাগের মতে, রাত বাড়তেই সেখানে হানা দেয় অশরীরীরা। এমন অনেক কান্ড কারখানা দেখা যায় যার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। খুবই রহস্যময়ী এই ঘাট। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাত বাড়তেই কিছু নৌকা দেখা যায় সেখানে। যা প্রাথমিক ভাবে খুব স্বাভাবিক লাগলেও কাছে গেলেই বোঝা যায় তাদের অস্বাভাবিকতা। জনশূন্য এই ঘাটে রাতের বেলা ঘুরে বেড়ানো নৌকাগুলি আদতেই মাঝি বিহীন। কারা চালায় তা হলে? উত্তর অজানা। অনেকের মতে, ব্রিজের একদম নীচের দিকে যেখানে আলোর বিন্দু পর্যন্ত পৌঁছায় না সেখানে অনেক সময় একটি সাদা শাড়ি পরনে মহিলাকে ঘুরতে দেখা যায়। তার গোটা শরীর যেন আলো উৎস। এই সকল অশরীরী আচরণ আজও নিঃসঙ্গ করে রেখেছে হাওড়া ব্রিজের এই ঘাটকে।