Ratha Yatra: শুধুই পুরী নয়! বঙ্গের এই জায়গার জগন্নাথ ভক্তি হার মানাবে সমুদ্র রাজ্যের আরাধনাকেও

রথযাত্রা ( Rath Yatra ) মানেই দেশ জুড়ে যেন একটা নতুন আনন্দ। বাতাসে যেন ‛জয় জগন্নাথ’ সুর। সকাল থেকেই উল্টো রথের আনন্দে মেতে উঠবে পুরী। সমুদ্রের স্রোতের মতোই জগন্নাথ দেবের পায়ে আছড়ে পড়বে ভক্তদের ঢেউ। তবে শুধুই পুরী নয়, সমুদ্র রাজ্যের কিছুটা দূরে বঙ্গেও মানুষ মেতে ওঠেন জগন্নাথ দেবের ( Jagannath Dev ) আরাধনায়। ধুমধাম করে চলে রথ যাত্রা। 

বলে রাখা ভালো, বাংলার ( West Bengal ) এই রথ যাত্রা কোনও অংশেই কম যায় না পুরীর রথযাত্রার থেকে। পুরীকে হার মানানো রথ যাত্রাগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশের রথ ( Mahesh Rath Yatra )। হুগলির এই রথ যাত্রা প্রায় কয়েকশো বছর পুরানো। বয়সের হিসাবে প্রায় ৬০০ বছর। প্রচলিত কাহিনী অনুসারে, ধ্রুবনন্দ ব্রম্ভচারী সূচনা করে রথের দড়িতে প্রথম টান পড়ে ১৩৯৬ সালে। ওজনের প্রায় ১২৫ টন ও উচ্চতা ৫০ ফুট। জগন্নাথ দেবের এই রথ যেন একেবারে গগনচুম্বী।

rath yatra 2

তবে শুধুই মাহেশের রথ নয়। ১৭৪০ সালে মধুসূদানন্দ স্থাপিত পূর্ব মেদিনীপুরের গুপ্তিপাড়ার রথ আজও মন টানে মানুষের। উচ্চতায় মাহেশের রথের তুলনায় ছোট হলেও কম নয় এই রথযাত্রা। তবে এক সময় বঙ্গের যে কোনও রথযাত্রাকে টক্কর দিত এই পূর্ব মেদিনীপুরের গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। ১৮৭৩ সালের আগে পর্যন্ত গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দির থেকে ১২ চাকার রথে চড়ে প্রভু জগন্নাথ দেব মাসির বাড়ি যেতেন।  কিন্তু সেই বছরই একটি দুর্ঘটনার জেরে কমানো হয় চাকার সংখ্যা। 

তবে গুপ্তিপাড়া থেকে এগিয়ে গেলেই নজরে পড়বে মাহিষাদল। এখানকার রাজবাড়ি যেমন বিখ্যাত ঠিক তেমনি বিখ্যাত এখানের রথযাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে পুরনো রথযাত্রার মধ্যে এটি একটি। এই রথের উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। ১৭৭৬ সালে জমিদার আনন্দলালের স্ত্রী জানকী দেবী এই রথের প্রচলন করেন। অর্থাৎ এই বিষয়টি সহজেই বলা যায়, এই রথ প্রায় ২৪৭ বছর পুরানো।

ratha yatra

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের রথযাত্রার কথা হবে অথচ মায়াপুরের রথের নাম নেওয়া হবেনা এটা সম্ভব নয়। আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে তৈরি করা হয় এই রথ। রাজপুর ও মায়াপুর পাশাপাশি দুটি গ্রাম। রাজাপুরের এক বৈষ্ণব পুরহিত সপ্নাদেশ পেয়ে আয়জন করে এই রথযাত্রার। এই রথযাত্রা বহু বছর বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ইসকন পুনরায় এই রথযাত্রার আয়জন করে। এই রথের একটি নজর কাড়া বিষয় হল, মায়াপুরের এই রথ কখনই মন্দির চত্বরের বাইরে বেরোয় না।

প্রসঙ্গত, শুধুই মায়াপুর কিংবা মাহেশ নয়! পশ্চিমবঙ্গের নানা অচেনা জায়গায় আজও ধুমধাম করে পালিত হয় রথযাত্রা। যেমন, বর্ধমানের একটি ছোট শহর মেমারী। এখানের রথযাত্রা ছোট হলেও খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়।মেমারীর জমিদার পরিবারের দেবতা হলেন রাধামাধব। সেই রাধামাধবকে কেন্দ্র করেই এখানের রথযাত্রা।




Leave a Reply

Back to top button