Shimla: রাত তো দূর, সকালেও সিমলার এই স্টেশনে দাঁড়ায় না কোনও ট্রেন! নেপথ্যে কোন ভয়ানক কাহিনী?

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : ট্রেনে করে ঘুরতে যেতে আমরা কম বেশি সকলেই পছন্দ করি। ট্রেনে করে বন্ধুবান্ধব হোক কিংবা পরিবার পরিজনদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। তবে ট্রেনে করে যাওয়ার সময় সেই পথে যদি কোনো টানেল আসে তাহলে নিমেষেই অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা ট্রেন। এমনিতেই ভাবলে গা কেমন শিউরে ওঠে তাই না। কিন্তু যদি সেই টানেল হয় ভূতুড়ে? তাহলে কেমন অনুভূতি হবে আপনার সেই টানেলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়? আদেও কি আপনার মন চাইবে এই ভূতুড়ে জায়গায় যাওয়ার জন্য? আজ আমরা কথা বলব এমনি একটি ভূতুড়ে টানেল সম্পর্কে।

ভারতের হিমাচল প্রদেশের বিখ্যাত একটি রেলওয়ে হল সিমলা ( Shimla) কালকা রেলওয়ে ( Kalka Railway)। এইখানে রয়েছে অনেকগুলি টানেল। যার মধ্যে থেকে এই ৩৩ নম্বর টানেলটি সবার থেকে আলাদা। আজও যখন কোনো ট্রেন এই ৩৩ নম্বর টানেল ( Shimla Tunnel 33) দিয়ে যাতায়াত করে তখন ঘটে থাকে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য ভারতে বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রের নাম উঠে আসে যার মধ্যে সিমলা অন্যতম। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এখানে এমন কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে যার ব্যাখ্যা দেওয়া প্রায় অসম্ভব। সিমলার বিখ্যাত রেলওয়ের ৩৩ নম্বর টানেল আজ শুধু ভারতের নয় বরং গোটা বিশ্বের সবচেয়ে ভৌতিক স্থানগুলোর মধ্যে একটি। কালকা-সিমলার সবচেয়ে লম্বা এ টানেলের ( Shimla Tunnel 33) দৈর্ঘ প্রায় ১.১৪ কিলোমিটার। এই টানেলের ভেতর ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার স্পিডে চলে ট্রেন। পার হতে সময় লাগে আড়াই মিনিট। এই সময়ের মধ্যে অনেকেই না-কি মানুষের ছায়া দেখেছেন। কিন্তু এমন কি ঘটেছিল এই টানেলে যার জন্য আজও গা শিউরে ওঠে মানুষের?

Shimla Tunnel 33
Shimla Tunnel 33

ব্রিটিশ রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারের নামে এ স্টেশন ও টানেলের নামকরণ করা হয়। টানেল তৈরির মূল তত্ত্বাবধানে ছিলেন কর্নেল বারোগ ( Colonel Barog)। এই কাজের জন্য ব্রিটিশ সরকার একটি নির্ধারিত সময় বেঁধে দিয়েছিল। পাথর কেটে টানেল নির্মাণের সময় তাঁর মাথায় এক অভিনব বুদ্ধি আসে। তিনি তাঁর কর্মীদের দুই ভাগে ভাগ করে পাহাড়ের দুদিক থেকে পাথর কাটার বুদ্ধি দেন। এইভাবে দুদিক থেকে খুড়তে খুড়তে মাঝখানে এসে তা মিলিত হবো। এমনটাই ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু সামান্য ভুলের জন্য এই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। যার ফলে তৎকালীন সরকার তাঁকে ১ টাকা জরিমানা করেছিল। সকলের কাছ থেকে অপমানিত হওয়ার ফলে তিনি মানসিক ও শারীরিক উভয় দিক থেকেই ভেঙে পড়েন। এমনকি টাকা পয়সারও অভাব দেখা দিলে তিনি একদিন তাঁর পোষ্য কুকুরের সাথে এসে সেই টানেলের সামনেই পকেট থেকে রিভলবার বের করে নিজেকে গুলি করেন। আর তারপর থেকেই নাকি বারোগের এই অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়ায় স্টেশন চত্ত্বরে। তাঁকে সম্মান জানাতেই এই রেল স্টেশনের নাম রাখা হয় বারোগ। আজও এই টানেলের ভিতরে প্রবেশ করলে এক গা ছমছমে নিস্তব্ধতা গ্ৰাস করে মানুষের মনকে। শোনা যায় বিভিন্ন অস্বাভাবিক শব্দ। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য এই কর্নেলের আত্মা কখনও কারোর ক্ষতি করেনি। তবুও যেন এই টানেলে ( Shimla Tunnel 33) প্রবেশ করলে আজও শিউরে উঠবে আপনার গোটা শরীর।




Leave a Reply

Back to top button