রাত পোহালেই যেন আগুন জ্বলে ওঠে তার চোখে! কে বসে রয়েছে নবান্নের চোদ্দ তলায়

মন্টি শীল, কলকাতা : সাধারণত গণতন্ত্রের মুখ্য এবং অন্যতম অঙ্গ হল সরকার। এক কথায় বলতে গেলে বলা যায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যা দেশ তথা রাজ্যের মানুষের চাওয়া-পাওয়া, সুযোগ সুবিধাকে বাস্তবায়িত করতে সহায়তা করে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করা হয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে। আমাদের রাজ্যে এইরকমের একাধিক সরকারি ভবন রয়েছে। কিন্তু তাঁর মধ্যে যেটি সবচেয়ে বেশি নজরকাড়া এবং আকর্ষণীয়, সেটি হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর ‘নবান্ন’ ( Nabanna )। কিন্তু সম্প্রতি এই নবান্ন-কে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে এক অভূতপূর্ব ভৌতিক অনুভূতি। বিশ্বাস হচ্ছে না?

রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৩ সালে রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক কার্যকলাপ ঐতিহ্যবাহী ‘রাইটার্স বিল্ডিং’ থেকে হাওড়া জেলায় অবস্থিত ১৪ তলা ভবন ‘নবান্নে’ স্থানান্তরিত করেছিলেন। বিরাট জাগজমকের সঙ্গে এই নবনির্মিত সরকারি ভবনে স্বাগত জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু এরপরেই ঘটতে শুরু করে একের পর এক যত অলৌকিক ঘটনা। রাজ্য সরকারের তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীদের নাম জড়াতে শুরু করে সারদা চিট ফান্ডের প্রতারণার সঙ্গে। এমনকি গ্রেফতার হন মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কুনাল ঘোষ-ও। যদিও এখানেই শেষ নয়, একের পর এক অভূতপূর্ব কান্ড কারখানা ঘটতে দেখা যায় এই সরকারি ভবনকে কেন্দ্র করে।

27c62

অনেকেই মনে করছেন এই সমস্ত ঘটনাগুলি অলৌকিক। যদিও এই বিষয় নিয়ে শাসনকার্য পরিচালনাকারী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়। এই ভবনটি সম্পূর্ণ ভাবে জ্যোতিষ এবং বাস্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে এই ধরনের অলৌকিক ঘটনা কেন ঘটছে? জানা গিয়েছে, এই সমস্ত অলৌকিক ঘটনার তথ্য জানা যেতে পারে এই ভবনের তিন তলায়। যা সচরাচর ভুতুড়ে বলেই সকলের কাছে পরিচিত। জানা গিয়েছে, তৎকালীন সরকার থাকাকালীন এই ভবনটির নির্মাণ কাজ করার সময় অধিকৃত বাড়িটির একটি অংশ ভাঙতে পারেনি।

শোনা যায়, যখনই কেউ ওই বাড়িটি ভাঙার চেষ্টা করছে ঠিক তখনই কেউ না কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যদিও এই ঘটনা গুজব না সত্যি কেউ জানেন না। কিন্তু বেশ কিছু বছর ওই বাড়িটি অর্ধ ভঙ্গুর অবস্থায় ওই ভাবেই পড়েছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে জানা যায় ওই অর্ধ ভঙ্গুর বাড়িটি হাওড়া ট্রাফিক কমিশনারেটের দপ্তরে পরিনত হয়। জানা গিয়েছে, হাওড়া মন্দির তলা এলাকার যে ভবনটির কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এক সময় ছিল শহরের আবর্জনা ফেলার জায়গা। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, মাঝে মাঝে এই সমস্ত স্থানে মৃত মানুষের ক্ষতবিক্ষত দেহ এবং তাঁর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যেত। যদিও বর্তমানে সেই জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে গেলেও এখনও ভৌতিক অনুভূতি রয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।




Leave a Reply

Back to top button