Sachin Tendulkar: মনে পড়ে সৌরভের জার্সি ওড়ানোর গল্প? শচীনের একটি সিদ্ধান্ত সম্ভব করেছিল সেদিনের ‘দাদাগিরি’কে

‘মহারাজা তোমারে  সেলাম….’ সত্যিই মহারাজা সে। বাঙালির আবেগ সৌরভ গাঙ্গুলি। এককালে মাঠে একের পর এক ছয় হাঁকিয়ে উজ্জ্বল করেছিলেন বাঙালির নাম। তাই আজও মানুষের মনে প্রাণে অনেকটা জায়গা জুড়ে তাঁর বাস। কিছুদিন আগেই নিজের ২২ গজের জীবনে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। লন্ডনের বুকে নিজের পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠে ছিলেন তিনি। 

স্বাভাবিক প্রতিটা বছর তিলোত্তমাতেই বাঙালিয়ানা সহিত নিজের জন্মদিন পালন করেন সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলেছে পরিস্থিতি। এখন বিদেশে পড়াশোনা করতে পাড়ি দিয়েছেন সৌরভ-কন্যা সানা। তাই মেয়ের সঙ্গে মুহূর্ত ভাগ করে নিতে সাত সমুদ্র পার করে ওই দূর দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই নিজের জীবনের এই বিশেষ সময়কে ভাগ করে নিলেন সৌরভ। ছিলেন বন্ধু সচিন ও আরও অনেকেই। 

sourav1

সম্প্রতি, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ নিয়ে বেশ মশকরা করেছেন সচিন। এদিন প্রথম টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং করে ৩২৯ রান তোলে। প্রথম ইনিংসে হেনরি নিকোলাস ৯০ বলে ১৯ রান করেন এবং ব্রিটিশ স্পিনার জ্যাক লিচের বলে আউট হন। এই শটে নন-স্ট্রাইকার দাঁড়িয়ে থাকা ড্যারেল মিচেলের ব্যাটে আঘাত করে লিচের বল। মাটিতে ড্রপ না পড়ায় নিকোলাসকে আউট ধরে নেওয়া হয়। আর এই দেখেই হাস্যকর একটি টুইট করে বসেন সচীন। তিনি লেখেন,’ছোটবেলায় পাড়াতে ক্রিকেট খেলার সময় তারাও নন-স্ট্রাইকারকে এই ভাবে আউট করতেন।’

প্রসঙ্গত,  তবে সেদিন এখানেই থামেননি সচীন। লর্ডসের মাঠের বিখ্যাত দৃশ্য নিয়েও স্মৃতিচারণ করেন তিনি। পূর্ণ হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির লর্ডসের মাঠে ‘দাদাগিরি’র কুড়ি বছর। ছাপোষা বাঙালি হয়ে বিদেশের মাটিতে দাপিয়ে এসেছিলেন মহারাজ। দিনটা ছিল শনিবার। সেই বিখ্যাত ম্যাচ দেখার জন্য গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে জমেছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের ভিড়। নিজেদের ব্যাটের জাদুতে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতেছিল ভারত। যখন ভারতের স্কোরবোর্ডে ১৪৬/৫, ততক্ষণে উইকেট গিয়েছিল শচীন, শেহবাগের মতো অনেকেই। 

সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারতের কোনও রকম সম্ভবনা ছিল না জিতে আসার। সেই মুহূর্তে শচীনের প্রতিটা আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল প্রতিটি খেলোয়াড়। শচীন বলেছিল, “কেউ কারও জায়গা থেকে নড়বে না।” আর সেই নির্দেশই সেদিনের জয়কে তুলে ধরেছিল। 




Back to top button