সেঞ্চুরিটা সেঞ্চুরি করেও বিতর্কহীন ক্রিকেটের ঈশ্বর, স্বামী হয়েও পেলেন ফুলমার্কস
একশোটা সেঞ্চুরি অথবা ক্রিকেটের ঈশ্বর, এই শব্দবন্ধগুলো শুনলে একটাই নাম আপামর ভারতবাসীর মনে ভেসে আসে। তিনি আর কেউ নন, লিটল মাস্টার শচীন রমেশ তেন্ডুলকর। রেকর্ডের প্রসঙ্গ উঠলে তার নামের পাশে যে কত পরিসংখ্যান জড়ো হবে তা গুনে শেষ করা যায় না। মাত্র ষোল বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ করে নিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। তারপর প্রায় দু দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতবাসীকে বিস্মিত, মুগ্ধ এবং গর্বিত করেছেন তার ক্রিকেটীয় জাদুতে।
তবে বিশ্বমানের ক্রিকেট তারকাদের জীবনে অসাধারণ পারফরম্যান্স থাকলেও পাশাপাশি থেকে যায় একাধিক বিতর্ক। এখানেও যেন সবার চেয়ে এগিয়ে শচীন। ভারতীয় ক্রিকেটে তো বটেই, গোটা বিশ্বের ক্রিকেট তারকাদের মধ্যে তিনিই এমন এক বিরল ব্যক্তিত্ব যার নামের সঙ্গে কখনোই কোন বিতর্ক জুড়ে যায়নি। এমনকি তার সমসাময়িক ক্রিকেট তারকারা যখন বলিউড সুন্দরীদের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে থাকতেন খবরের শিরোনামে তখনও শচীনের ফোকাস থাকতো শুধুই নিজের ক্রিকেট স্টাইলের উন্নতি।
ক্রিকেটের পাশাপাশি বয়ফ্রেন্ড বা স্বামী হিসেবেও এক নম্বর র্যাঙ্কিং ক্রিকেট ঈশ্বরের। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি লাজুক প্রেমিক, বিশ্বস্ত স্বামী এবং দায়িত্ববান পিতা। শচীনের স্ত্রী ডক্টর অঞ্জলি তেন্ডুলকর নিজেই জানিয়েছেন যে শচীনের মতো স্বামী যেকোন মেয়ের স্বপ্ন। পাশাপাশি একথাও তিনি জানিয়েছেন যে শচীন একইরকম দায়িত্বশীল তার পরিবারের প্রতিও।
অঞ্জলির কথায় পরিবার এবং কাজকে ব্যালেন্স করার ক্ষেত্রেও এক নম্বর শচীন। যখন তিনি খেলার প্রয়োজনে দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াতেন তখন পরিবারকে বিশেষ সময় দিতে পারতেন না। সেই কারণে যখনই তিনি বাড়িতে থাকতেন সেই সময়টাই উৎসবে পরিণত হতো। পাশাপাশি পরিবারকে নিয়ে ডিনারে যাওয়া বা ছেলেমেয়েদের ছোট ছোট খুশির খেয়াল রাখা এই সমস্ত বিষয়টাই শচীনের কাছে প্রায়োরিটি লিস্টে প্রথম দিকে থাকে।
সুতরাং শচীন শুধু ক্রিকেটীয় জগতেই নয়, গোটা পুরুষ জগতেই একটা উদাহরণ স্বরূপ। স্ত্রী ছয় বছরের বড় হন অথবা উচ্চতায় স্বামীর চেয়ে বেশি, ভালোবাসা সম্মান এবং শ্রদ্ধা থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক পরিপূর্ণ হবেই এমনটাই নিদর্শন রেখেছেন শচীন এবং অঞ্জলি।