Serial Killer: ‘ময়লা পরিষ্কার করছি’ বলে ২০০রও বেশি খুন করল এই সিরিয়াল কিলার, চিনে নিন ঘাতককে

Tআশা করা যায় সকলে নিশ্চয়ই সিদ্ধার্থ মালহোত্রার ‘ভিলেন’ মুভিটি দেখেছেন। যেখানে রিতেশ দেশমুখ সিরিয়াল কিলার হিসাবে মহিলাদের খুন করেন। কিন্তু এখানে যে খুনীর উল্লেখ করা হচ্ছে তা জেনে আপনার হুঁশ উড়ে যাবে। এবং এটা সত্যিই কোনো কল্পকাহিনী নয়, বরং বাস্তবতা। এই ভয়ংকর খুনী এখনও পর্যন্ত ২০০ টিরও বেশি জন নারীকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, তার দুইবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই খুনি তাঁর নিজের শহরে সবচেয়ে বেশি খুন করেছে। শুধু তাই নয়, এর আগেও এই খুনী পুলিশে চাকরিরত ছিলেন।
রাশিয়ান মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানানো হয়েছে এই সিরিয়াল কিলারের নাম মিখাইল পপকভ। এবং ইনি আগে রাশিয়ার পুলিশ বিভাগ পোস্টে কর্মরত ছিলেন।আদালতের কাঠগড়ায় যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো কেনো মিখাইল এতগুলো খুন করেছে, তখন সে এই প্রশ্ন করার জন্য আদালতে অদ্ভুত যুক্তি দিয়েছে। মিখাইল আদালতে বলেন,”আমি শহর থেকে ময়লা পরিষ্কার করেছি। এই মহিলারা তাদের অনৈতিক আচরণের জন্য শাস্তি পেয়েছে এবং আমি এতে মোটেও অনুশোচনা বোধ করি না। সুযোগ পেলে অন্য নারীদেরও হত্যা করব।”
আরও পড়ুনঃ Maharashtra Murder: মায়ের সাহায্যে বোনের শিরচ্ছেদ, কাটা মাথা হাতে নিয়ে সেলফি ভাইয়ের
রিপোর্ট অনুযায়ী, মিখাইল অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে নারীদের হত্যা করত। যা সে নিজ মুখে স্বীকার করেছে। খুনের সময় কুড়াল, হাতুড়ি ও ছুরি দিয়ে কয়েক দফা হামলা চালাত বলে জানা গেছে। হত্যার পর লাশ জঙ্গলে ফেলে দিত। এর পাশাপাশি সে নিজেও তদন্তে করতে আসত। প্রায় ২ দশক ধরে নিজের শহর আঙ্গারস্কে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে সে। কারণ মিখাইল পুলিশে কর্মরত ছিল, তাই তাকে কেউ সন্দেহ করার অবকাশ করেনি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মিখাইল জানায়, সে কয়েকদিন ধরে ক্লাব ও বারে ঘুরে বেড়াত। সেখানে আসা নারীদের টার্গেট করত প্রথমে। এরপর গাড়িতে লিফট দিত। তারপর কোথাও নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর নির্যাতন করে হত্যা করত। এটাই ছিল তার প্রত্যেকটি খুনের প্যাটার্ন। এই ভাবেই সে প্রত্যেককে খুন করত, বিশেষত মহিলাদের।
তবে মিখাইল এখন কারাগারে। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে পুলিশ। মিখাইল জানিয়েছেন,”তিনি এ পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি নারীকে হত্যা করেছেন। একইসঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য তার মোটেও অনুশোচনা নেই। কারণ তিনি সমাজের নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করেছেন।”