আজব কান্ড! বাড়িতে সাক্ষাৎকার করতে আসা ইউটিউবারদের দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করলেন রানু মণ্ডল

জয়িতা চৌধুরী, কলকাতা: ইউটিউবারদের দিয়ে এবার নাকি বাথরুম পরিষ্কার করলেন রানু মণ্ডল ( Ranu Mondal )। আজকাল তাদের কাছে রানু মন্ডল একজন কমেডি কনটেন্ট ( Comedy content of Ranu Mondal ) হয়ে উঠেছেন। তাকে নিয়ে ভিডিও বানানোর জন্য প্রায়ই বহু ইউটিউবাররা পৌঁছে যান রানু মন্ডলের রানাঘাটের বাড়িতে। সেখানেই তার অদ্ভুত কান্ডকারখানাগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করে দেন তারা, যা ভাইরাল হয় নিমেষে।
সম্প্রীতি এক ইউটিউবার ( Youtuuber ) তার সাথে সাক্ষাত ( Ranu Mondal ) করতে গেছিলেন ভিডিয়ো বানানোর সূত্রেই। তাঁকে রানু মণ্ডল জানান, তিনি শৌচকর্ম ঘরেই সারেন। কারন, সিঁড়ির নীচে বাথরুম থাকলেও বাথরুমে যাওয়ার যে কোল্যাপসেবল গেট রয়েছে সেটা নাকি খোলাই যায় না। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না করার ফলে গেটটি জাম হয়ে গেছে। তবে কোল্যাপসেবল গেট খোলা হলেও দেখা যায় যে সেখানে নোংরা তো রয়েছেই। এমনকি গাছ গজিয়ে গেছে।
এরপর রানু মন্ডলের ( Ranu Mondol interview ) ইন্টারভিউ নিতে যাওয়া ওই ইউটিউবাররাই ( Youtuber ) বাথরুম পরিষ্কার করেন। আর সেই ভিডিওই ভাইরাল ( viral ) হয়েছে নেটমহলে। সমাজকর্মী ( social activist ) অতীন্দ্র চক্রবর্তীর ( Atindra Chokroborty ) দৌলতে সোশ্যাল মিডিয়ার ( social media ) হাত ধরেই মানুষের মাঝে সাময়িক স্টার হয়েছিলেন রানাঘাটের রানু মন্ডল ( Ranu Mondal )।
একটা সময় রানাঘাটের স্টেশনে বসে গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন তিনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ( social media viral ) হওয়ার পর থেকেই তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে যায় বহু মানুষের মাঝে। তৈরি হয় ঠুনকো সম্মানের প্রাচীর। যার জন্য এখন তিনি আর স্টেশনে বসে ভিক্ষাও করতে পারেন না। প্রতিমুহূর্তে নেটনাগরিকদের অধিকাংশের মাঝে কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাকে।
অনেক নেটিজেনদের মতে, একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে কখনোই এইভাবে অপদস্ত করা উচিৎ নয়।
তবে একবার এক সাক্ষাৎকারে ( interview ) রানু মন্ডল ( Ranu Mondal ) নিজেই জানিয়েছিলেন, সবাই নিজের ইউটিউব চ্যানেলের ফলোয়ার্স এবং লাইক বাড়াতে আসে, কেউ তার খিদের খোঁজ রাখেনা। খিদের জ্বালায় অনেকসময় খারাপ ব্যবহার করে ফেলেন অনেকের সাথে, আর সেগুলোর জন্যই তাকে প্রায়ই কটাক্ষ হতে হয় নেটদুনিয়ায়। তিনি এও জানিয়েছেন, বাড়ির গেটে সবসময় তালা ঝুলিয়ে রাখতে হয়, নাহলে কেউ না কেউ ঢুকে পড়ে বাড়ির ভেতর। একরাশ গানের অনুরোধ নিয়ে বসে পড়ে তার সামনে।তার কথায়, পেটে একরাশ খিদে নিয়ে তার গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোতে চায় না, তখনই তিনি তাদের সামনে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন আর যার জন্যই অনেকসময় নেটনাগরিকদের মাঝে কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাকে। তাদের জ্বালায় অনেকসময় চান পর্যন্ত করতে পারেন না।