Viral: রেল লাইনে চলছে বাস, প্রযুক্তিতে ফের বিশ্বগুরুর শিরোপা তাঁদের ঝুলিতে

টেকনোলজির কথা উঠলেই বিশ্বের সামনে রকমারি জিনিসের প্রদর্শন ঘটিয়ে দেয় জাপান(Japan)। এই বিষয়ে তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। বিগত কয়েক দশকে নিজেদেরকে টেকনোলজিতে(Technology) উন্নত থেকে উন্নততর করে তুলেছে তাঁরা। একের পর এক প্রযুক্তির উদ্ভাবনীর মাধ্যমে তামাম বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে জাপান। এবার এক আস্ত বাস আবিস্কার করল জাপান যা দেখে প্রায় গোটা বিশ্ববাসীর চোখ কপালে।

এই বাস অনায়াসেই রেল লাইন ধরে চলতে পারে। এবং প্রয়োজন পড়লে সড়ক পথ মাধ্যমেও চলাফেরা করতে পারে। আসলে, এটি একটি বাসের আকৃতির যানবাহন যা রেল ও সড়ক উভয় পথের অবলম্বনেই চলাফেরা করতে পারে। আপাতত, প্রাথমিক পরীক্ষায় পাস করেছে এই বাস। বড়দিন থেকেই দেশের দুই শহরে এই বাসটিকে চলতে দেখা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে্‌ বাসটির নামকরণ করা হয়েছে ডুয়েল মোড ভেহিকেল। এই ডুয়েল মোড ভেহিকেল বা সংক্ষেপে বলা যেতে পারে “ডিএমভি(DMV)” ১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই সড়ক পথে চলমান বাস থেকে ট্র্যাক বা রেল লাইন ধরেই চলমান ট্রেনে পরিণত হয়ে যেতে পারে।

Technology,Japan,train,প্রযুক্তি,জাপান,বিশ্ব,ট্রেন,Dual-mode vehicle,bus,রেললাইনে চলছে আস্ত বাস,bengali news,বাংলা খবর,বাস,ডিএমভি,ডুয়েল মোড ভেহিকাল,জাপান প্রযুক্তি,প্রযুক্তিবিদ্যা,জাপান বাস,জাপানের ট্রেন,ভাইরাল খবর,Viral News,Japan Tech,World

এটিতে ইস্পাতের চাকা লাগানো রয়েছে। যার সাহায্যে কেবল রিমোটের একটি বোতাম প্রেস করলেই অনায়াসেই ট্র্যাকে চলমান ট্রেনে পরিণত হতে পারে এই বাসটি। আবার যখন রাস্তায় চলে তখন সেই বোতামের সাহায্যই এটির মোড পরিবর্তন হয়ে যায়, যেখানে ইস্পাতের চাকা ভিতরে ঢুকে যায় এবং রবারের চাকা বাইরে বেরিয়ে আসে। ডেইলি মেইল-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই গাড়িটির দৈর্ঘ্য প্রায় আট মিটার(২৬ ফুট)। ওজন ৫,৮৫০ কেজি বা বলা চলে ৫.৮৫ টন। একটি সাধারণ ট্রেনের তুলনায় দেখতে গেলে এটির ওজন অনেক কম।

ট্র্যাকে এই গাড়িটি ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার গতিতে চলাফেরা করতে পারে। পাশাপাশি, রাস্তায় এই গাড়ির গতিসীমা আরও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। আপাতত, জাপানে তেকুশিমা এবং কোচ্চি এই দুই শহরের মধ্যে চলা ফেরা করবে এই ডুয়েল মোড ভেহিকেল বা ডিএমভি। তবে অদূর ভবিষ্যতে এই বাসটিকে দেশের নানা শহরের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া চেষ্টা চলছে। জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি এই যানবাহনটিকে দেখে রীতিমতো হতবাক বিশ্ববাসী। জাপানের এমন নিদর্শনে মুগ্ধ হয়েছেন টেক বিশেষজ্ঞরাও।




Back to top button