Sangli Family Oman: সমুদ্র কাড়ল জীবনের সব সুখ! ঢেউয়ের টানেই অতল সমুদ্রে হারিয়ে গেল বাবা-ছেলে-মেয়ে

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে এক ভয়ংকর ভিডিও। যা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। ওমানের সমুদ্র সৈকতের প্রবল জোয়ারে ভেসে গেছে মহারাষ্ট্রের সাংলি থেকে আসা ভারতীয় এক ব্যক্তি এবং তাঁর দুই সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে ওমানের আল মুগসাইল সমুদ্র সৈকতে ( Sangli Family Oman )। ঘটনা স্থল থেকে বাবা ও ছেলের মৃত দেহ উদ্ধার করা গেলেও মেয়ে এখনও নিখোঁজ।
রয়্যাল ওমান পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই ঘটনায় মোট পাঁচজন পর্যটক নিহত হয়েছেন। দু’জন কে খুঁজে পাওয়া গেছে এবং উদ্ধারকারীরা বাকিদের সন্ধান করছে। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পর্যটকরা ( Sangli Family Oman ) উচ্চ পাহাড়ি সমুদ্র সৈকতের কিনারায় অবাধে মজা করছেন। এমন সময় হঠাৎই সমুদ্রের একটি বড়ো ঢেউ সৈকতের উপর আছড়ে পরে। সঙ্গে সঙ্গে ঢেউয়ের সঙ্গে ভাসে যায় পাড়ে থাকা কয়েকজন পর্যটক। দেখা যায় এক জন মহিলা সেই ঢেউয়ে প্রায় মরতে মরতে বেঁচে যান।
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, সেদিন অনেকেই মুগশাইল সৈকতের পাঁচিল অতিক্রম করার পরে “সমুদ্রে পড়ে”। সাংলি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা নিহত ওই পরিবারটিকে চিহ্নিত করেছেন। জানা গেছে, সাংলির জাট শহরের শশীকান্ত মহামানে ( ৪২ ) নামে ওই ব্যাক্তি ( Sangli Family Oman ) দুবাই ভিত্তিক একটি ফার্মে সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। কয়েক বছর আগে তাঁর পরিবারের সাথে দুবাইতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার দিন পরিবারের সাঙ্গে পিকনিক করতে এসেছিলন তাঁরা। ঘটনার সময় তিনি এবং তাঁর ছেলে শ্রেয়াস ( ৬ ) ও মেয়ে ( ৯ ) শ্রেয়ার সাথে সমুদ্র সৈকতে ছিলেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শ্রেয়া ও শ্রেয়াস ( Sangli Family Oman ) সৈকতের উপর আছড়ে পরা ঢেউয়ের সাথে খেলতে গিয়ে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে। আর তাদেরকে বাঁচাতে গিয়ে শশীকান্ত বাবু ডুবে যায়। আধিকারিকদের মতে, শশীকান্ত এবং শ্রেয়াসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কিন্তু শ্রেয়ার লাশের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি শশীকান্তের স্ত্রীকে একেবারেই ভেঙ্গে দিয়েছে। এই তিন জন ছাড়াও নিহত আরও দুই ব্যক্তিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
View this post on Instagram
সাংলি জেলা কালেক্টর অভিজিৎ চৌধুরী বলেছেন, “পরিবারের আত্মীয়রা ( Sangli Family Oman ) ওমানে যাচ্ছে। ওমান বা দুবাইতে তাঁদের যে সাহায্যের প্রয়োজন হবে তা স্থানীয় দূতাবাস সরবরাহ করবে।” মঙ্গলবার ওমান পুলিশের করা টুইট অনুসারে, ভেসে যাওয়া মোট পাঁচজন পর্যটকই মারা যেতে পারেন, তাই শশীকান্ত বাবুর মেয়ের সঙ্গে আরও দু’জনের অনুসন্ধানের কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে।