North 24 Parganas: দারিদ্রতাকে হারাবে কিংশুকের স্বপ্ন, জাতীয় স্তরে খেলার সুযোগ পেল টোটো চালক বাবার ‛সোনার’ ছেলে

মন প্রাণ দিয়ে কোনও কাজ করলে একদিন সফলতা ঠিক কড়া নাড়বে দরজায়, একথা আমরা অনেকেই শুনেছি। সত্যিই তো, কোনও ব্যক্তির মধ্যে যদি কাজ করার অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকে তবে তিনি সফল হবেন, একথায় কোনও ভুল নেই। সম্প্রতি একথাই প্রমাণ করলেন বাংলার এক যুবক কিংশুক পাল। জানা গিয়েছে জাতীয় স্তরে অ্যাথলেটিকসে সুযোগ পেয়েছে সে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা ( North 24 Parganas ) জেলার হাবড়ার বাসিন্দা কিংশুক। ছোট থেকেই দারিদ্রতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা কিংশুকের। তার বাবা একজন টোটো চালক এবং তার মা কেবল একজন গৃহবধূ। ছোট থেকেই খেলাধুলার ওপর কিংশুকের ছিল অফুরন্ত ভালবাসা। দু চোখ ভরে ছিল কেবল একটাই স্বপ্ন, দেশের হয়ে খেলতে চায় সে। নিজের এই স্বপ্নের মাঝে কখনই দারিদ্রতাকে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেয়নি ছোট্ট কিংশুক।
৯ বছর বয়স থেকেই বাবার টোটোতে করে মাঠে প্র্যাক্টিস করতে যেত কিংশুক। হাবড়া হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণীর পাঠরত কিংশুক ইতিমধ্যে জেলা, মহকুমা বিভাগ থেকে হাই জাম্পে পেয়েছে বহু পুরষ্কার। ট্রফি, মেডেল থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট সবই সাজানো রয়েছে তার বাড়িতে। ছোট থেকেই কিংশুকের এটাই স্বপ্ন যে পরবর্তীতে একজন বড় খেলোয়াড় হবে সে। সেই স্বপ্নের দিকেই আরও এক কদম এগিয়ে দিল কিংশুক। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই জাতীয় স্তরে খেলার জন্য আমন্ত্রণ পেল হাবড়ার এই যুবক।
ইতিমধ্যে জাতীয় স্তরে খেলার জন্য রওনা দিয়েছেন কিংশুক। বিহারের পাটনার পাটলিপূত্র কমপ্লেক্সে হচ্ছে আয়োজিত করা হয়েছে এই প্রতিযোগিতার। এই মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত ইস্ট জোন বিভাগে বাংলার হয়ে খেলবে কিংশুক। ছেলের স্বপ্ন পূরণ হতে দেখে খুশি কিংশুকের বাবা। তিনি জানিয়েছেন,“দরিদ্র হওয়া সত্বেও ছেলের খেলার স্বপ্নকে পূর্ণ সমর্থন করার চেষ্টা করি আমি”। আগামীতে একজন বড় খেলোয়াড় হয়ে উঠুক ছেলে এটাই চান কিংশুকের বাবা।