BJP-TMC row- পুরভোটের সিটের মূল্য ১ লক্ষ টাকা, কাঠগড়ায় গেরুয়া শিবির

এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল তরফে একটি ভিডিও টুইট করা হয়। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের সাথে সাথে রাজ্য রাজনীতি জুড়ে দেখা যায় এক হৈ হৈ রব। নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে আসন বিক্রির অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। রবিবার এই ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আনে তৃণমূল। অবশ্য এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

এই ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, বিজেপির জনৈক নেতাকে টাকার বিনিময়ে কলকাতা পুরসভার টিকিট বিক্রি করতে। ১টি আসনের ন্যূনতম মূল্য ১ লক্ষ টাকা। এই ভিডিও ক্লিপে নাম উঠে এসেছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও। এমনকি বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত তৈরি কথা বলা হয়েছে এই ভিডিও ক্লিপে। ভিডিওটিতে নিজেকে বিজেপির শীর্ষনেতাদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে যার গলা শোনা গিয়েছে তাঁর নাম প্রীতম সরকার। বিধানসভা ভোটের সময় উনি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন। এছাড়াও, এই কান্ডে নাম জড়িয়েছে দক্ষিণ কলকাতার জেলা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর শিকদারের।

উল্লেখ্য, রবিবার তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল তরফে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। টুইটিতে লেখা হয়, “স্তম্ভিত! বাংলা বিজেপি আসন পিছু ১ লক্ষ টাকা করে চাইছে। সুকান্ত মজুমদার আপনি উস্কানিপ্রচারের জন্য এই তহবিল তৈরি করেন?” তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষও একই অভিযোগ করেছেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি তো টিকিট দেওয়ার নামে টাকা তুলছে। এটাই ওদের সংস্কৃতি।”

যদিও এই প্রসঙ্গে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা প্রীতম সরকার। তাঁর দাবি, “এটি একটি ভুয়ো ভিডিও ক্লিপ।”এই নিয়ে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি শঙ্কর শিকদার জানান, “আমি এসবে জড়িত নই। চক্রান্ত চলছে। প্রীতমকে আমি চিনি। আর এটা কী হয়েছে তার জবাব দেবে প্রীতম।”

এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, “বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে তৃণমূল কাউকে দিয়ে ভিডিও বানিয়েছে। যার নামে ভিডিও বেরিয়েছে সে আগে তৃণমূল করতো। বিজেপির কোনও নেতা বা পদাধিকারী তো বলেননি যে ১ লক্ষ টাকা করে প্রার্থীর জন্য দিতে হবে। বিজেপিতে প্রার্থী পদ কোনও একজন ব্যক্তি দ্বারা নির্ধারিত হয় না।”




Back to top button