Brutality: কুকুরে পায়ে বাজি বেঁধে পৈশাচিক উল্লাস, এ কেমন বিকৃত মানসিকতার পরিচয়?
এখন যুগ “ট্রেন্ডিং”-এর। আর এই ট্রেন্ডিং-এর পিছনে ছুটতে গিয়ে সমাজের এক দল মানুষ মেতে উঠছে এক পৈশাচিক উল্লাসে। জলাঞ্জলি নিজের মনুষ্যত্ব সত্ত্বাকে। অমানবিক বা নৃশংস হতে ভাবছে না একবারও। সেই কারণেই বোধে হয় কালী পুজোর রাতে অবলা কুকুরের পায়ে বাজি বেঁধে ওর একটা পাই উড়িয়ে দেওয়া হল! ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়গপুরের(Kharagpur) খরিদার।
আদালতের নির্দেশিকাকে অবমাননা করে দেদারে শব্দবাজি ফাটছে চারিদিকে। চারপাশে বাজির বিশাল শব্দ। আকাশে আলোর ঝলকানি আর বাতাসের বারুদের গন্ধ। যার জেরে হয়তো ঘরের কোণে শ্বাস কষ্টে ধুঁকতে হচ্ছে কারোর প্রিয়জনকে। কিন্তু অতশত ভাবলে যে পুজোয় আনন্দ হয় না! তাই এই ভাবনা থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে অনেকেই। কিন্তু তা বলে একটা অবলা সারমেয়র পায়ে বাজি বেঁধে আনন্দ খোঁজার কি সত্যিই কোনো দরকার ছিল?
অভিযোগ, খরিদায় এলাকায় একটি রাস্তার কুকুরে পিছনের বাঁ পায়ে কে বা কারা বাজি বেঁধে দিয়েছে। যার জেরে তার পায়ের অর্ধেক অংশ উড়ে গিয়েছে। প্রবল যন্ত্রণায় ছটফট করছে কুকুরটি। গলা ছেড়ে চিৎকার করারও শক্তি নেই তাঁর দেহে। মানুষ দেখলেই ভয় পাচ্ছে, কাঁদছে। মানুষের গা ঘেঁষা প্রাণীই নাকি মানুষকে ভয় পাচ্ছে। ঠিক আর কতটা নৃশংস হওয়ার পর থামবে এই পৃথিবীর ট্রেন্ডিং সমাজ?
আরও পড়ুন….“রক্তপানের” মাধ্যমেই ভ্রাতৃত্বের শপথ, এমনই রীতি তাঁদের
মনোবিদ সুজিত সরখেলের প্রতিক্রিয়া, “আমাদের মেন্টাল ডিসঅর্ডারের সেকশনে এটাকে আমরা কনট্যাক্ট ডিসঅর্ডার বলি। বড় হলে অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি হয়। অসহায়দের প্রতি অত্যাচার করে আনন্দ পায়। এবং তার জন্য পরবর্তী কালে কোনও অনুতাপও কাজ করে না। এই ধরনের ঘটনা যেটা ঘটেছে এটা কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কাজ হতে পারে না। যারা এগুলো করছে তাদের অবশ্যই শনাক্ত করা দরকার এবং আলাদা করে ডিলও করা উচিৎ। কারণ, পরবর্তী কালে এরা অন্যান্য অপরাধও খুব সহজেই করতে পারে।”