Mamata Banerjee:ঠিক হয়েছিল সম্বন্ধ? ফুটেছিল বিয়ের ফুল! কিন্তু তারপরেও কেন বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন না’ দিদি’?

সৌমি ঘোষ,কলকাতা: বিমান বসু হোক বা রাহুল গান্ধী, মোদী হোক কী মমতা, রাজনীতির ময়দানে চার-ছক্কা হাঁকালেও প্রেমের ময়দানে তাঁরা কেন একা ? নিশ্চয় এই প্রশ্ন একবার না একবার পাক খেয়েছে আপনার মনে। তবে মোদী হোক বা রাহুল তাদের প্রেম, বিয়ে নিয়ে শোনা যায় নানা জল্পনা। তালিকা থেকে বাদ যাননি খোদ বাংলার মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। “আমার ছেলে মমতাকে বিয়ে করতে চায়!” হাফিজুলের বাবার এই একটা কথা মিডিয়ায় হাওয়ার গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। সত্যি তো! বাংলার ‘বাঘিনী’ মমতাকে কেউ বিয়ে করতে চাইতে পারে? কিন্তু প্রশ্ন হল, পারে না কেন? অন্যান্য মন্ত্রীর যদি ‘বিয়ে-সংসার’ হয়ে থাকে তবে মমতা ব্যানার্জির ক্ষেত্রে নিয়মের বদল হল কেন? এই প্রশ্নের উত্তর অধরা। কিছুদিন আগে মধ্যরাতে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হাফিজুল যে সাত ঘন্টা কাটিয়ে এল, আর কেউ বোধহয় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এতটা দুঃসাহস দেখাননি।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি চিরকালই ‘বাংলার মেয়ে’ হয়েই থাকতে চেয়েছিলেন? নাকি অন্য পরিকল্পনাও ছিল? মমতা বন্দোপাধ্যায় বরাবরই নিজের পরিবারকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। পরিবারের সদস্যদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবেন। কিন্তু, আত্মীয়-পরিজনের প্রতি অপার স্নেহশীলা মুখ্যমন্ত্রীর নিজের সংসার হল না কেন? শোনা যায়, আর পাঁচজন মেয়ের মতো তাঁর বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছিল। কথাবার্তা হয়ে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান বাংলার দিদি। ঠিক করেন, রাজনীতির ময়দানে কাটাবেন বাকি জীবন। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের ব্যক্তি জীবনের উপর তৈরি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বাংলা ছবি বাঘিনীতে এমন ইঙ্গিত ছিল। নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা সবার মধ্যে থাকে না। সুনাম-দুর্নাম যাই থাক, অদূর ভবিষ্যতে তিনি যে ‘বাংলার মুখ’ হয়ে উঠবেন, তা দূরদর্শী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে টের পেয়েছিলেন। তাই ‘মা-মাটি-মানুষ’-এর লক্ষ্য নিয়ে কৈশোর-যৌবন রাজনীতিতে উৎসর্গ করেছেন। ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকেই আন্দোলনে পথে পথে কেটেছে। নিজেকে নিয়ে ভাববার অবকাশ তিনি পাননি।
হাফিজুলের ঘটনায় যেমন এই ভাবনা আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। তেমনি কিছুদিন আগেই শোনা গেছিল চাঞ্চল্যকর ঘটনা,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিয়ে করতে চলেছেন সোশ্যাললিজমকে। ছাপানো কার্ড দেখেই চোখ কপালে আমজনতার। মমতা ব্যানার্জি এবং সোশ্যাললিজমের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সভাপতি। তাজ্জব ঘটনা! তামিলনাড়ু সিপিআইএম নেতার তিন পুত্রের নাম সোশ্যালিজম, লেনিনজম, কমিউনিজম।এক নাতির নাম মার্ক্সসিজম অথচ বিবাহ দিলেন দক্ষিণপন্থী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে।তবে ইনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা নন, তামিলনাড়ুর কন্যা। এই ঘটনাতেও ব্যাপক হিন্দোল উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে শেষপর্যন্ত এখনও আইবুড়োই রয়েছেন বাংলার দিদি।