Chiranjeet Chakraborty: “ভয়ে আছি……এদিক-সেদিক ছড়িয়ে আছে আমার বান্ধবীরা!” পার্থ গ্রেফতারিতে কী বললেন চিরঞ্জিত?

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ( SSC Recruitment Scam ) নিয়ে রাজ্য জুড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে নানা ‘কোটি টাকার’ প্রশ্ন। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (বর্তমানে শিল্প ও পরিষদীয়মন্ত্রী)। আপাতত পার্থ ও পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ( Arpita Mukhopadhyay ) গ্রেফতারিতে রাজ্য জুড়ে সরগরম পরিস্থিতি। এদিন, ED মাধ্যমে চল্লিশ ট্রাঙ্ক টাকা, গয়না ও বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে। সেই টাকার সূত্র কী, কেই বা দিয়েছে এই নিয়ে উঠছে হাজারটা প্রশ্ন। তাছাড়াও, অর্পিতার মতো ছোট পর্দার সহশিল্পীর বাড়িতে এতগুলো টাকা এলই বা কীভাবে এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। 

তৃণমূলের ( TMC ) সাফ বক্তব্য, এই অর্পিতার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগসূত্র নেই। এদিকে তৃণমূলের একাধিক মঞ্চে তাঁকে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। রাজ্য দুর্নীতি দেখে পথে নেমেছে পদ্ম ও বাম শিবিরও। কেউ বলছে, “আমাদের আন্দোলনের জন্যই দুর্নীতি সামনে এসেছে”। কেউ আবার বলছে, “চোর ধরো”। পরিস্থিতি যে এখন অনেকটাই হাতের বাইরে তা বেশ স্পষ্ট তৃণমূলের কাছে। 

chiranjeet chakraborty (1)

উল্লেখ্য, দলের নেতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরে মেচেদায় একটি অনুষ্ঠান থেকে প্রতিক্রিয়া দিলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ( Chiranjeet Chakraborty )। এদিন তৃণমূলের এই তারকা বিধায়ক জানান, “এদিক-সেদিক ছড়িয়ে আছে আমার বান্ধবীরা, তাই ভয় করে।” একইসঙ্গে এই গোটা ঘটনার পিছনে বিজেপি’র অঙ্গুলিহেলন আছে বলেও মনে করেন অভিনেতা। অভিনেতার ইঙ্গিত, বান্ধবীর বাড়িতে তল্লাশি ও টাকার পাহাড় খুঁজে পাওয়া এবং অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রতিটা ঘটনা আলাদা। আর যার নেপথ্যে বিজেপি। এদিন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী আরও জানান, “ কিছু সমস্যা হয় তো নিশ্চই হয়েছে, কিন্তু এটাকে বিরাট করে প্রোজেক্ট করা হয়েছে।” 

তবে তারকা-বিধায়কের এদিনের মন্তব্য যেন নিশ্চিত করেছে পার্থর বান্ধবী-সঙ্গ। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন মিমের পাহাড়। উল্লেখ্য, আপাতত চিকিৎসা করাতে ইডি তরফে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ( Partha Chatterjee )। করা হয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। যার কিছু রিপোর্ট মিলে যাবে বিকালের দিকে। নিজে যে শারীরিক ভাবে অসুস্থতা তা বোঝাতে মাঝে মধ্যে বুকে হাত রাখছেন মন্ত্রী। এদিন তিলোত্তমার বুক থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমেই পাশ্বর্বতী রাজ্যের AIIMS-এ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।  আপাতত ওই পার্শ্ববর্তী রাজ্যেই চিকিৎসারত তৃণমূলের মহাসচিব। দলের এই মুখ্য কর্মীকে নিয়ে  এত টানাপোড়েনের পর এখন কিন্তু মন্ত্রীত্ব ও দলীয় পদ বহাল রয়েছে তাঁর। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিরোধীরা। অবশ্য, সেই ক্ষোভা বিশেষ ভাবে পাত্তা না দিয়ে তৃণমূল জানিয়েছে, আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে তাঁরা।




Back to top button