Omicron: ওমিক্রন আক্রান্তের সঙ্গে রাজ্যে বাড়ছে করোনার গ্রাফ, ভীত রাজ্যবাসী

ক্রমেই দেশে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ওমিক্রন সক্রমিত না হলেও মঙ্গলবার (Tuesday) করোনা সংক্রমনের হার সোমবারের তুলনায় বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেল। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের(Department of Health & Family Welfare) প্রকাশিত রিপোর্ট (Health Bulletin) অনুযায়ী গত রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছে ৫৫২ জন। তাই রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬ লক্ষ ২৪ হাজার ১৬১।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন ৫৫৪ জন। এবং গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন ব্যক্তি। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডের থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ হাজার ৬২০। যদিও সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৮.৩৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ হাজার ৬৮৫টি। পাশপাশি প্রতিদিনই কলকাতা সব জেলাগুলোর থেকে আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে থাকছে। কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬১ জন। যা সোমবারের তুলনায় আরও বেশি। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগণায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১০১ জন।
করোনার (Corona) নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্টে প্রথম মৃত্যু হল বিশ্বে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিশ্চিত করেছে একথা। বিবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী বরিস জনসন (Boris Johnson) বলেছেন, ব্রিটেনে এক ব্যক্তি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে একজন রোগীর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট ভয়ঙ্কর নয় এমন ধারণা সরিয়ে রাখা উচিত। যেসব জায়গায় জনসংখ্যা বেশি সেখানেই ছড়াতে পারে করোনা। তাই এই পরিস্থিতি দ্রুত বুস্টার নিয়ে নিতে হবে।”
আরও পড়ুন……….Omicron – ওমিক্রন সংক্রমণে দ্বিগুণ মৃত্যুর আশঙ্কা! করোনার নতুন রূপ নিয়ে চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
উল্লেখ্য প্রতিদিন যে পরিমাণে নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন থাবা বসাচ্ছে প্রতি রাজ্যে কিংবা দেশে তাতে গোটা বিশ্ব তথা প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্যমহল বেশ চিন্তিত। এন আই টি আই আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডক্টর ভি কে পল একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যের মধ্যে জানান, “দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাবল্য (Corona Second Wave) কমতে শুরু করেছে। কিন্তু যেভাবে মাস্ক পরার অনীহা দেখা দিচ্ছে সেখানে ফের করোনার বিপদ সীমায় প্রবেশ করছে ভারত। এমনটাই আশঙ্কা।”