Jagaddhatri Puja- বন্ধ ‘সাং’, বিক্ষোভে ঝরল নিষ্পাপ প্রান! উৎসবের মাঝেই বাড়ছে উত্তেজনা
স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট বলছে, কমেছে দৈনিক সংক্রমণের হার। এই সমীক্ষা অনুযায়ী হাইকোর্ট ছাড় দিলো জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনগুলো। চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরে থাকছেনা রাতের কারফিউ। দর্শনার্থীরা রাত জেগে ঠাকুর দেখতে পারবেন। তবে দুর্গা পুজো ও কালীপুজোর মতনই থাকছে মণ্ডপের বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন, দূরত্ববিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহারের বাধ্য বাধকতা।
তবে সমস্যা কোথায়!? প্রশ্ন উঠছে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ভাসান নিয়ে ।প্রতি বছর বিসর্জনের আগে দীর্ঘ ২ কিমি পথ বাঁশের মাচায় করে প্রতিমাকে কাঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। এই শোভাযাত্রাকে ‘সাং’ বলে। কোলকাতার রেড রোড কার্নিভালের মতনই কৃষ্ণনগরেও এই রীতি চলে আসছে বছরের পর বছর। এখানে যোগ দেন বিপুল সংখ্যক মানুষ । কিন্তু আগের বছরের মতন এবছরেও ‘সাং’ আয়োজিত করা যাবেনা বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকানোর কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হলো এই স্থানীয় রীতি। ফলে ক্ষোভ ফেটে পড়ে পুজো কমিটিগুলি। কৃষ্ণনগরের স্থানীয়রা টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর এই অবরোধের মধ্যেই ঝড়ে গেল এক নিষ্পাপ প্রান।
আন্দোলনের রেশ যত বাড়ছিল, জাতীয় সড়কে আটকে পরা হাজারো গাড়ির মধ্যে একটি গাড়িতে থাকা সাত বছরের এক শিশুর শ্বাস ততই কমছিল। জানা গেছে শিশুটির নাম সাকিবুল। মালদহের মোথাবারি থানার জোত অনন্তপুর গ্রামে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় সাকিবুল। ছোট্ট সাকিবুলকে মালদহের সদর হাসপাতাল রেফার করে এস এস কে এমে। তবে কৃষ্ণনগর আর পেরোনো হলোনা । “সাং” কেনো হবেনা সেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে উৎসবের মাঝেই ঝড়ে গেল এক ছোট্ট প্রাণ।
আরও পড়ুন – দেশকোভিডে নিভেছে শিক্ষার আলো, পড়ুয়া আত্মহত্যার নিরিখে গোটা বিশ্বে ভয় ধরাচ্ছে ভারত
অবরোধকারীদের মধ্যে পুলিশ পরে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে একজন লোকাল থানার এ এস আই এর পুত্র এবং অন্য একজন কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনে কাজ করেন । অবরোধ চলাকালীন প্রচুর পুলিশও সেখানে উপস্থিত থাকা সত্বেও কেন অ্যামবুলেন্সটিকে রাস্তা করে দেওয়া হয়নি, সে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পালের বক্তব্য “পুলিশকর্মীরা অবরোধ তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। অবরোধস্থল থেকে অনেকটা দুরে আটকে ছিলো অ্যামবুলেন্সটি। ফলে আমাদের কর্মীরা জানতে পারেন নি। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা পদক্ষেপ করেছি।”