আসন্ন পুজোয় ক্লাবগুলিকে মোট কত কোটির অনুদান দিচ্ছে সরকার? কোষাগারে ঋণের বোঝা কত জানেন?
ঢাকে কাঠি পড়তে না পড়তেই ফের ক্লাবগুলির জন্য দরাজ হস্তে দানধ্যান(Durga Puja Donation) শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এদিকে ২০১৮ সাল থেকে পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছে তৃণমূল সরকার(Trinamool Government)। ২০১৮ সালে ক্লাবগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে সেই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয় ২৫ হাজার টাকা। ২০২০ সাল থেকে সেই অনুদান আরও বেড়ে যায়। টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা। চলতি বছরেও সেই একই টাকা দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তাতেই কোষাগারে টান পড়ার তীব্র সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
এদিকে ৫০ হাজার টাকা অনুদানের সঙ্গে বিদ্যুতের বিলে অনেকটাই ছাড় দিচ্ছে সরকার। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। সরকারের দাবি করোনা আবহে দুর্গাপুজো করতে স্পন্সর মিলছে নায তাই যাতে কোনও ক্লাব বা পুজো কমিটিকে(Durga Puja 2021) অসুবিধায় না পড়তে হয় সেই দিকে খেয়াল রেখে আর্থিক সাহায্য করার চেষ্টা করছে সরকার। এদিকে দুয়ারের সরকারের হাত ধরে গত কয়েক মাসে চালু হয়েছে আরও একাধিক প্রকল্প। এছড়াও পূর্বতন সরকারের প্রকল্পের বোঝাও খাঁড়ার মতো ঝুলছে সরকারের মাথায়।
সহজ কথায় রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা মোটেই ভালো নয়। এমনকী সরকারি কর্মকর্তাদের কথাতেও বারবারে উঠে এসেছে সেই কথা। এই পরিস্থিতিতে এই বিশালাকার অনুদান কেন সেই প্রশ্নই উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে দুর্গাপুজো করা প্রায় ৩৮ হাজার ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এমনকী আরও বাড়তে পারে এই সংখ্যা। যার ফলে অঙ্কের হিসেবে এই বছর পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকার দেবে ১৮০ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান কোথা থেকে আসবে সেই উত্তর নেই কারও কাছেই।
এদিকে সরকারি পরিসংখ্যানেই দেখা যাচ্ছে ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার সময়ে রাজ্যের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল, ২ লক্ষ ৭ হাজার কোটি টাকা। যার পুরো দায়ই অবশ্য ছিল পূর্বতন বাম সরাকরের উপর। কিন্তু, ২০২০ সালে সেই ঋণের বোঝাই বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা। এদিকে কোষাগারের করুন অবস্থা নিয়ে বারে বারে আক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে খোদ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অন্যদিকে গত দেড় বছরের করোনা ফাঁড়ায় আরও সঙ্গীন হয়েছে অবস্থা। এদিকে সূত্রের খবর, ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্লাবগুলিকে অনুদান দিতে রাজ্যের খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। চলতি বছরের হিসাব করেল তা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। আর সেথানেই বাড়ছে উদ্বেগ।