কেন্দ্র বন্ধ করলেও চালু থাকবে বিনামূল্যে রেশন প্রক্রিয়া, এমনই বার্তা খাদ্যমন্ত্রীর
বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার কথা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কীভাবে বিনামূল্য রেশন প্রক্রিয়া চালু থাকবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছিল কালো মেঘের ঘনঘটা। ইতিমধ্যে, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, “কেন্দ্র বন্ধ করলেও রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশন প্রক্রিয়া চালু রাখবে।” রবিবার মাইকেল নগরের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মুখে এমনটাই জানান তিনি।
এদিন তিনি আরও জানান, “রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে রেশন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে এবং সেটা চালু থাকবে। এর জন্য রাজ্য সরকারের বরাদ্দ যা রয়েছে তার থেকে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যা দেওয়া হচ্ছিল সেটা ওরা বন্ধ করেছে। গরিব কল্যাণের নামে সাময়িকভাবে মানুষকে সুবিধা দিয়ে হটাৎ বন্ধ করে দেওয়ার কারণ জানা নেই। করোনা পরিস্থিতি এখনও চলে যায়নি। কেন বন্ধ করলেন, তা ওনারাই ভালো জানেন। তবে রাজ্য সরকারের খাদ্যসাথীর মাধ্যমে যে রেশন ব্যবস্থা রয়েছে তাতে মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে।” এছাড়াও তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনে জন্য ওই প্রকল্প চালু করেছিল। সাধারণ মানুষের ভালোর জন্য চালু করলে তা তাঁরা কোনো মতেই বন্ধ করতো না। গোটাটাই একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য”, এমন মত রাজ্য খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন…এক বাক্স ম্যাঙ্গো বাইট, বিগ বাবুলের স্টিকার আর টিকটিকি লজেন্সে নস্টালজিক নব্বইয়ের রঙিন ক্যানভাস
প্রসঙ্গত, দুয়ারে রেশন নিয়ে পুজোর আগেই নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। খাদ্য দফতর অনুযায়ী, কবে, কোথায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু থাকবে তা পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। পূর্ব নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট কোনো পাড়া, গ্রাম কিংবা পল্লিতে ওজন মেশিন সহ হাজির হবে রেশনের গাড়ি। সকল উপভোক্তাদের মিলবে প্রাপ্য চাল, গম, চিনি। নিজস্ব আধার কার্ডের প্রমাণ দিয়ে মিলবে রেশন। যদি সেই নির্দিষ্ট দিনে কেউ বা কোনো পরিবার রেশন নিতে উপস্থিত না থাকে, তাহলে তাঁকে পরে গিয়ে রেশনের দোকান থেকে তাঁর যাবতীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে হবে। এই প্রকল্পে পরিবারগুলিকে ১৬টি ক্লাস্টারে বিভক্ত করা হবে। প্রতি ক্লাস্টারে বিতরণের জন্য মাসে নির্দিষ্ট দিন থাকবে।