শহরে অভিযোগের বন্যা! বাজি ফাটানোয় মানা হল না কোর্টের নিষেধাজ্ঞাও

বাজি ফাটানোর উপর কোর্টের নিষেধাজ্ঞা কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হল রাতের সুযোগে। হাইকোর্ট বাজির উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর মামলাটিতে সুপ্রিম কোর্ট পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি ফাটানোর পক্ষে মত দেয়। যদিও, শহর কলকাতা জুড়ে বাজি ফাটানোর নিয়মাবলী সম্পর্কে সঠিক নীতি(গাইডলাইন)তৈরি করা হয়নি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সেই কারণেই বাজি ফাটানোর বিষয়ে কড়া হতে পারেনি প্রশাসন বলে মনে করছেন একাংশের শহরবাসী।

পরিবেশ দূষণ ও করোনা রোগীদের কথা মাথায় রেখে এ বছর বাজি ফাটানোয় একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমন কি রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি ফাটানোর কথাও বলেছে কোর্ট। যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতে ফাটানো হল বাজি। রাত দুটো পর্যন্ত রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে বাজি ফাটানোর জন্য ৪৫টা অভিযোগ জমা পড়েছে। যা দেখে কার্যত অবাক হয়েছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরা।

অনিয়ন্ত্রিতভাবে ফাটল বাজি,নিষেধাজ্ঞা কোর্টের আইন‌ও,অভিযোগের বন্যা,দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদেuncontrolled crack betting,prohibition court law,flood of complaints,pollution control board,রাজ্য,পশ্চিমবঙ্গ,দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ,অনিয়ন্ত্রিত বাজিState,West Bengal,Uncontrolled Gambling

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে শহরের একাধিক জায়গায় বেপরোয়াভাবে বাজি ফেটেছে। উত্তর কলকাতার আমর্হাস্ট স্ট্রিট থেকে দক্ষিণ কলকাতার বেহালা, তিলজলা, হরিদেবপুর, পাটুলি প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছে অভিযোগ। শহর কলকাতাকে টেক্কা দিয়েছে শহরতলি ও জেলাগুলি। হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় একাধিক জায়গায় বাজি বিক্রি হতেও দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল। শহরবাসীর তরফ থেকে উঠেছে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ।

আরও পড়ুন………………………বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই, বৌমা নয় নিজের মেয়ের মতই আগলে রাখেন জয়া বচ্চন

দুর্গাপুজোর পর করোনার প্রভাব বেশি হ‌ওয়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণেই হাইকোর্টে গতাবারের বাজি নিষিদ্ধ রাখার রায় বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে মামলা করেন এক ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, গতবার বাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করায় উপকৃত হয়েছিলেন করোনা রোগীরা। কমেছিল দূষণের মাত্রাও। এবার বেপরোয়াভাবে বাজি ফাটানোয় দূষণের মাত্রা কতটা বাড়বে তা ভেবেই চোখ কপালে তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনার দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ২.৯৩ শতাংশ হয়ে দাঁড়ানোয় কোর্ট এও রায় দিয়েছে দীপাবলির পরে ছট পুজোতেও ২ ঘন্টা পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি ফাটানো যাবে। পাশাপাশি ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের অনুষ্ঠানে কোন সময় বাজি ফাটানো যাবে, সেই নির্দেশিকা জারি করেছে কোর্ট। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের সময়ে রাত ১১.৫৫ থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত পরিবান্ধব আতসবাজি ফাটানো যাবে। সেই নির্দেশিকা কতটা কার্যকরী হবে, কতটা কড়া হবে প্রশাসন সেইদিকে তাকিয়ে রয়েছে শহরবাসী।




Back to top button