দীর্ঘদিন করেছেন শিক্ষকতা, ভাগ্যের পরিহাসে রাস্তাতেই ভবঘুরে জীবন কাটাচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা
জীবন যুদ্ধের যাঁতাকলে পড়ে রোজই খবর আসে কত হতদরিদ্র মানুষের হার না মানা সংগ্রামের কথা, আবার কতবার শোনা যায় অর্থসুখের আতিশয্যের চূড়ায় বসেও তাবড় তাবড় ধনীদের অদ্ভূত সমাপতনের কথা। এবার খোদ কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় শতছিন্ন বস্ত্রে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল খোদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী(Chief minister) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকাকে। বোন ইরা বসুকে চিনতেও পেরেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Bhuddhadeb Bhattacharya) স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য (Mira Bhattacharya)।
এদিকে মীরার কথা অনুযায়ী খড়দার প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন ইরা। এমনকী তাঁর জন্মও অভিজাত পরিবারেই। ছোট থেকেই দুর্দান্ত মেধাবী ছিলেন ইরা দেবী। সল্টলেকে তাদের একটি নিজস্ব বাড়িও রয়েছে। ঠিকানা বি. বি. ৮৪ সল্টলেক, কলকাতা।কিন্তু মীরা ভট্টাচার্যের অভিযোগ স্বেচ্ছায় নিজের এই ভবঘুরে জীবন বেছে নিয়েছেন তাঁর বোন। এতে শুধু তাঁর নয় গোটা পরিবারেই অসম্মান হচ্ছে।
যদিও সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন থেকেই মানসিক ভাবে সুস্থ নেই ইরা দেবী। সুশিক্ষিতা মেধাবী এবং স্কুল শিক্ষিকা হওয়ার পরেও নিয়ন্ত্রণ নেই জীবনে। গত দু’বছর ধরে ডানলপের ফুটপাতেই পড়ে থেকেছেন ইরা। এদিকে তাঁর এই পরিণতি জানার পর থেকেই প্রশাসন তৎপর হয়েছে। বর্তমানে বরানগর থানার পুলিশ এবং স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীদের অনুরোধে বর্তমানে কলকাতার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ইরা দেবী।
খড়দহের প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের জীবনবিজ্ঞান শিক্ষিকা হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি। পেনশন পাননি। কিন্তু এও শোনা যাচ্ছে চাকরির পর তাঁর প্রাপ্য পেনশনের কিছুই পাননি ইরা দেবী। তাই সেই পেনশনের যাতে দ্রুত ব্যবস্থা করা যায় সেই উদ্যোগও শুরু হয়েছে। এদিকে মীরাদেবীর মতে, চাইলেই ইরা বসু যে কোনও দিন তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন, কিন্তু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের কারণেই তিমি সেখানে যাননি।