সুব্রত-প্রয়াণে দীপাবলিতেই শোকের আবহ তৃণমূলে, জানুন এক নজরে পঞ্চায়েত নেতার রাজনৈতিক উত্থান

প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ২২ মিনিটে মৃত্যু হয় মুখোপাধ্যায়ের। জীবনাবসনের সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৩ শে অক্টোবর ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এসএসকেএমের কার্ডিয়লজিস্ট ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ধমনীতে স্টেন্ট বসানোর পরেও শারীরিক অবনতি হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।

সুব্রত মুখোপাধ্যায় রাজনৈতিক মহলের সুপরিচিত নাম, যিনি আমৃত্যু বাম-বিরোধীতা করলেও রাজ্যের সর্বস্তরের বাম-নেতাদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁর। কংগ্রেসী জামানায় ছাত্রজীবনেই নজর কেড়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছাত্র পরিষদের সভাপতি ছিলেন তিনি। এই সময়েই প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির সাথে আলাপ হয়েছিল তাঁর। ইন্দিরা গান্ধীর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে ছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ১৯৭২ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে সিদ্ধার্থশংকর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তৎকালীন রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের জরুরীকালীন মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

Trinamool leader,Subrata Mukhopadhyay,TMc Supremo Mamata Bandyopadhyay,Panchayet Minister Subrata Mukherjee,Subrata Mukherjee's Bioography,Subrata Mukherjee Bangla news,তৃণমূল নেতা,সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু,তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি,সুব্রত মুখার্জির বায়োগ্রাফি,সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাংলা খবর

পরে ২০০০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতার ৩৬ তম মেয়র পদে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২০০০ সালে তৃণমূলের হয়ে মেয়র পদে থাকাকালীনও বিধানসভার কংগ্রেস পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। মেয়র হিসাবে ই.এম.বাইপাসে ৩০০ ফুট উঁচু কলকাতার গেট তৈরী করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি,কিন্তু দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় সেই প্রকল্পের বাস্তব রূপায়ন করতে পারেননি।

মেয়র পদে থাকার শেষ দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন মঞ্চের প্ল্যাটফর্মের অধীনে কংগ্রেস  এবং কয়েকজন প্রান্তীয় খেলোয়াড়ের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং পুরভোটে লড়েন “ঘড়ি” চিহ্নে। কিন্তু সেই ভোটে তিনি নিজে জিতলেও, জেতেনি তাঁর দল। ফলে আর কখনো ফিরে আসা হয়নি কলকাতা মেয়র পদে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে ফিরে যান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।

ফের ২০১০-এ তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন। সেই থেকে আমৃত্যু তৃণমূলেই ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর তিন দফাতেই রাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব বর্তানো হয়েছিল তাঁর ওপরে। ২০১১ সালে চন্দ্রনাথ সিংহকে প্রতিস্থাপন করে রাজ্যের গ্রামীণ উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। ২০১২ সালে শোভনদেব চ্যাটার্জীর পরিবর্তে রাজ্যের সর্বভারতীয় সদস্য করা হয় তাঁকে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে তৃণমূল হয়ে জয়লাভ করেছিলেন তিনি। বর্তমানে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সহ মোট চারটি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।




Back to top button