কাঁচ পরিষ্কার করতে গিয়ে জালনায় আটকে গেছিলেন বৃদ্ধা, সাহায্য করলো প্রতিবেশীরা
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে। বাড়ির জানালার কাঁচ পরিষ্কার করছিলেন সেই বৃদ্ধা। কিন্তু অজান্তেই তিনি জানলার ভিতরেই আটকা পড়ে যান। অবশেষে দমকল বাহিনীর সাহায্যে তিনি জীবনদান পেলেন।

হুগলি: কথায় আছে “রাখে হরি মারে কে”! যদি ভাগ্য আপনার সহায় হয়, তাহলে যে কোন বিপদে আপনি টিকে থাকতে পারবেন সহজেই আর যদি না হয়, তাহলে সামান্য হাওয়াও আপনাকে উড়িয়ে নিয়ে চলে যেতে পারে। এমনই ‘রাখে হরি মারে কে’র একটি উদাহরণ হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের এক বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে। বাড়ির জানালার কাঁচ পরিষ্কার করছিলেন সেই বাসিন্দা। কিন্তু অজান্তেই তিনি জানলার ভিতরেই আটকা পড়ে যান। অবশেষে দমকল বাহিনীর সাহায্যে তিনি জীবনদান পেলেন।
জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুরের সেই বাসিন্দা একজন বৃদ্ধা। তাঁর নাম মধুশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। বয়স ৭২ বছর। আর কয়েক ঘন্টা পেরোলেই দিওয়ালি, তাই তার আগে তিনি ফ্ল্যাট পরিষ্কার করতে ব্যস্ত ছিলেন। কাঁচ পরিষ্কার করছিলেন তিনি বক্স জানলার উপর বসে। এরপরই ঘটে বিপত্তি। তাঁর অজান্তেই কাঁচ পরিষ্কার চলাকালীন, হঠাৎ বাইরে থেকে লক হয়ে যায় স্লাইডিং জানালার কাঁচ এবং আটকা পড়ে যান তিনি। তবে মধুশ্রী দেবী অত্যন্ত সাহসী একজন মহিলা। ওরম পরিস্থিতিতে, ভয়ে ঘাবড়ে না গিয়ে, প্রতিবেশীদের থেকে সাহায্য চান এই অবস্থা থেকে প্রতিবেশীরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাঁকে এবং খবর দেন দমকলকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল কর্মীরা, কিন্তু ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ থাকায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতে হয় তাদের। অবশেষে উদ্ধার করেন মধুশ্রী দেবীকে। এবং বিরল একটি ঘটনার সমাধান করতে এসে প্রথমে চমকে যান দমকল কর্মীরাও, কিন্তু অবশেষে মধুশ্রী দেবীকে উদ্ধার করতে পেরে খুশি হন তারাও।
তবে এতকিছু ঘটা সত্ত্বেও ভয়ের বিন্দুমাত্র ছাপ দেখা যায়নি মধুশ্রী দেবীর মুখে। উল্টে তিনি হেসে জানান, “সত্যি বলতে গেলে আমি নিজেও জানি না এটা কিভাবে হলো। সকাল সাড়ে সাতটা বাজে তখন। আমি বাড়ির কাজে হাত লাগিয়েছিলাম। জানলা পরিষ্কার করছিলাম। তখনই আটকে পড়ি। যদিও প্রতিবেশীরা প্রচন্ড সাহায্য করেছে। ওরাই দমকলকে খবর দিয়েছে।“ মধুশ্রী দেবীর প্রতিবেশীদের থেকে জানা গিয়েছে, ওনার দুই মেয়ে মুম্বাইতে থাকেন, তাই প্রতিবেশীরাই বেশিরভাগ সময় তাঁর দেখাশোনা করেন।