পাপ পুণ্যের দেবতার পুজোর পরই ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়ার চল আরামবাগের গ্রামে
মনে করা হয়, চিত্রগুপ্তের খাতাতেই মানুষের পাপ পুণ্যের হিসাব লেখা থাকে । সেই মতোই ঠিক হয়, মৃত্যুর পর স্বর্গ নাকি নরক, ঠাঁই হবে কোথায়। আরামবাগের বাতানলের কায়স্থ সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, চিত্রগুপ্ত তাদেরই বংশধর ছিল। তাই তারা এই পুজো করে।

হুগলি: দেবতাদের মধ্যে একজন ছিলেন যমরাজের লেখক চিত্রগুপ্ত ( Chitragupta )। এটা হয়তো খুব কম মানুষই জানে। হুগলির বাতানলে কিন্তু ভাইফোঁটার ( Bhai phota ) সকালে চিত্রগুপ্তের পুজো হয়। ভারতের একমাত্র বাতানল গ্রামে চিত্রগুপ্ত পূজার ( Chitragupta Pujo ) পর গ্রামের বোনেরা তাদের ভাইয়ের কপালে দেয় চন্দনের ফোঁটা ( Bhai Dooj ) । যেখানেই থাকুক না কেন, চিত্রগুপ্ত পুজোর শুরুতেই গ্রামে হাজির বোনেরা।
কলকাতার শ্যামবাজারে ‘বঙ্গীয় কায়স্থ সমিতি’তে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এখন বন্ধ। চিত্রগুপ্তের খাতাতেই মানুষের পাপ এবং পুণ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। এভাবে মৃত্যুর পর স্বর্গ বা নরক কোথায়? শুধু তাই নয়, খাতাটিতে একজন মানুষের আয়ু কত বছর তাও লিখেছেন তিনি। বাতানলের ( Arambag Batanal ) কায়স্থ সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে চিত্রগুপ্ত তাদের বংশধর। তাই তারা এই পুজোর আয়োজন করে।
মঙ্গলবার ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে চিত্রগুপ্তেরও পুজো হচ্ছে । বাটানাল কায়স্থ পাড়ায় রয়েছে চিত্রগুপ্ত পূজা কমিটি। সকাল থেকেই পুজো চলছে। এ পূজা দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসেন। পুজোপাঠ প্যান্ডেল দ্বারা সঞ্চালিত হয় যারা দেবতাদের মূর্তি নিয়ে আসে। আচ্ছাদন, ঢোল বাজানো, নৈবেদ্যর আয়োজনে চিত্রা গুপ্তের পূজা চলতে থাকে।