Elephant attack- বর্ধমানের পর এবার জলপাইগুড়িতে দামালের হানা, শহরজুড়ে জারি ১৪৪ ধারা
‘সে এক মাতলা হাতি মত্ত হেসে, যেই দিয়েছে ডাক’- অবনী ঠাকুরের এই লাইনকে যেন সম্পুর্ন করে তুলল ৪৯ টি হাতির একটি দল। হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত জলপাইগুড়ি। রবিবার ভোর রাতে হাতির উপদ্রবে জলপাইগুড়ি শহরবাসীর মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকে পড়ল দু’টি দলছুট হাতি। লোকালয় থেকে হাতি দু’টিকে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। হাতি দেখতে সাধারণ মানুষের ভিড় ঠেকাতে শহরে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
কিছু দিন আগেই বাঁকুড়া থেকে বেরিয়ে পূর্ব বর্ধমানে গলসি ও আউশগ্রামে ঢুকে পড়ে ৪৯ টি হাতির একটি দল। তবে শুক্রবার দুপুর নাগাদ লোকালয় থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে আউশগ্রামের যাদবগঞ্জের জঙ্গলের ঢুকিয়ে দেওয়া হয় হাতির দলটিকে। আর ঠিক এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এদিন রবিবার ভোর রাতে জলপাইগুড়ি শহরে। সূত্রের খবর, রবিবার ভোরে বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল থেকে তিস্তা নদীর পাড় ধরে দু’টি হাতি চলে আসে জলপাইগুড়ি শহরে। এরপর তারা চলে আসে সোজা কোভিড হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। জানা যাচ্ছে, হাতির হানায় ভেঙে গিয়েছে হাসপাতালের দেওয়াল। এরপর তারা আশ্রয় নেয় জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজের বয়েজ হোস্টেলের পিছনের করলা নদী সংলগ্ন এলাকার একটি ঝোপে। খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে বনদফতরের কর্মীদের পাশাপাশি উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও এলিফ্যান্ট স্কোয়াড পৌঁছে যায়।
সুত্রের খবর, হাতি দু’টি পূর্ণবয়স্ক। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পবিত্র নগর কলোনি সংলগ্ন এবিপিসি ক্লাবের খেলার মাঠের সীমানা প্রাচীর টপকে হাতি দুটি এই মুহূর্তে কবর খানায় রয়েছে। উপস্থিত রয়েছে এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের কর্মীরা। সঞ্জয়নগর কলোনী এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা রনি রাজবংশী জানান, “সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির পাশে দু’টি হাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নদীর পাড় দিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ঢুকে গেল। তারপর আর দেখতে পেলাম না কিছু” ।
আরও পড়ুন – বাড়ির আনাচেকানাচে রাতভর কান্নার আওয়াজ, জানুন পুতুল বাড়ির ভুতুড়ে ইতিহাস
এ দিকে শহরের একেবারে মাঝামাঝি অবস্থান করার কারণে, বেলা বাড়তেই হাতি দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন,“এটি আমার এলাকা। শুনেছি সকাল থেকে হাতির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। কিন্তু ভিড় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এইভাবে ভিড় বাড়তে থাকলে ওদের এলাকা থেকে বের করে আনা অসম্ভব হয়ে যাবে। কারণ ওদেরও জায়গা দিতে হবে এলাকা ছাড়ার। কিন্তু সেই জায়গা ওরা পাচ্ছে না। তাই অবিলম্বে জারি করা হোক ১৪৪ ধারা “।