শুরু পুজোর কাউন্টডাউন, এই নিয়মগুলি না মানলে দেখতে পাবেন না ঠাকুর
গুনে গুনে ক্যালেন্ডারে বাকি আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকদিন। ইতিমধ্যেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজোর(Durgapuja) সলতে পাকানো শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যজুড়েই। তবে করোনা মহামারীর আবহকে সঙ্গে নিয়েই এবারও শারদ উৎসব উদযাপন করতে হবে আপামর বাঙালিকে। রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও। ইতিমধ্যেই বারোয়ারি ও সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি গুলিকে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব (Forum for Durgotsab)। পুজোর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত মানুষের টিকাকরণের উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
গতবছর আদালতে আইনি লড়াইয়ে অভিজ্ঞতা থেকে এবছর অনেক আগে থেকেই সতর্ক ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, ” পুজোর সংগঠকদের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যথাসম্ভব খোলামেলা মণ্ডপ করতে হবে যাতে বাইরে থেকে ঠাকুর দেখা যায়। টিকার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।” এদিকে চলমান মহামারীর কথা মাথায় রেখে কীভাবে সাধারণ মানুষ প্রতিমা মন্ডপ পরিদর্শন করবেন তারই নিয়ম জানানো হয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এর পক্ষ থেকে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে:
১. দিনের বেলায় দর্শনার্থীরা ঠাকুর দেখতে সঠিক ব্যবস্থা করতে হবে।
২. মন্ডপের জায়গা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে পুজোমণ্ডপে ভিড় না হয়।
৩. ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখতে হবে প্যান্ডেলের প্রবেশপথ।
৪. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে পুষ্পাঞ্জলী ও সন্ধি পুজোর সময়।
৫. কাটা ফল দেওয়া যাবেনা মায়ের প্রসাদে।
৬. অতিরিক্ত সদস্যকেও নেওয়া যাবেনা প্রতিমা বিসর্জনে।
৭. যারা ঠাকুর দেখতে আসবেন তাদের টিকার অন্তত একটি ডোজ বাধ্যতামূলক।
৮. ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে হবে পুজো কমিটির সদস্যদের।
৯. মুখে মাস্ক ব্যবহার ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
উপরিউক্ত নির্দেশিকাগুলি মানা হচ্ছে কিনা সেটা কড়া ভাবে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের। পুজোর আনন্দ বিস্বাদে বদলে না যায় সেই কারণেই জারি হয়েছে আগাম সর্তকতা।