ISRO : স্বাধীনতার ৭৫-এ পা দেওয়ার আগেই বিশ্ব মঞ্চে সেরার সেরা ভারত! স্কুল ছাত্রীদের উদ্যোগে তৈরি ক্ষুদ্রতম রকেট

নেহা চক্রবর্ত্তী, কলকাতা : ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন স্বাধীনতা দিবসের আগে তৈরি করল ইতিহাস । কী সেই ইতিহাস যা ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগে তৈরি করল ইসরো( ISRO )!
উল্লেখ্য, ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের কথা মাথায় রেখে ৭৫০ জন স্কুল ছাত্রীরা তৈরি করল একটি রকেট। এটা সাধারণ রকেট নয়। বিশ্বের সব থেকে ছোট রকেট হিসেবে গণ্য হয়েছে এটি। এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয় ৭ অগস্ট, রবিবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে।
“স্পেস কিডজ ইন্ডিয়া” নামক একটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অধীনে রয়েছেন ৭৫০ স্কুল পড়ুয়ারা। তারা সকলে একসঙ্গে এই স্টুডেন্ট স্যাটেলাইটটি তৈরি করে। তবে উৎক্ষেপনের সময় হয়েছিল অনেক ধরনের সমস্যা। রাত দু’টো থেকে শুরু হয়েছিল কাউন্টডাউন। সাত ধাপে উৎক্ষেপণ হয়েছিল ক্ষুদ্র রকেটটি। প্রাথমিকভাবে সবকিছু ঠিক থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা ঠিক ভাবে সম্পূর্ন হয়নি। বিশেষ সূত্রের খবর অনুযায়ী উৎক্ষেপণের আগেই বেশ কিছু তথ্য হারিয়ে যায়। ফলতই যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে রকেটটি তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে সঠিক সময় পৌঁছতে পারেনি। বিজ্ঞানীরা হারিয়ে যাওয়া সেই তথ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালালেও এখনও পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। যে সমস্ত ছাত্রীরা এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছিল, তারাও উপস্থিত ছিল উৎক্ষেপণের সময়।
কী হয়েছিল উৎক্ষেপণের পর! ইসরোর বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা সন্দেহে ছিল যে রকেটের ১২০ টন ওজনের ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল দু’টি স্যাটেলাইটকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রেরণ করতে পারবে কিনা। কারণ এই রকেটে যে স্যাটেলাইটটি রয়েছে তা পৃথিবীর নিম্ন অক্ষে প্রদক্ষিণ করবে বলে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা খুঁটিনাটি তথ্য পেতেন।
স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলটি দেখতে ছিল ৩৪ মিটার লম্বা। ভেহিকল ডায়ামিটার ২ মিটার, পিএসএলভি-র ডায়ামিটার হয় ২.৮ মিটার। এই এসএসএলভিটি ১২০ টন ওজন বইতে সক্ষম।যদিও ভারতের মহাকাশ গবেষণায় শ্রীহরিকোটায় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রকেটের উৎক্ষেপণ সফল না হলেও নতুন একটি ইতিহাস রচনা হল।