Roundup 2021: আবহাওয়ার মতনই বদলেছে দলের রংও, জেনে নিন কে কোন নতুন দলে ভিড়লো এবছর

এবছর আবহাওয়ার যেমন কোন ঠিক ছিলনা, শীতকালে বৃষ্টি আর গ্রীষ্মকালে উত্তপ্ত রোদের মুখে হতে হয়েছিল ভারতবাসীকে ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না কোন কাল চলছে ঠিক তেমনই খানিক হয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থা। কেউ যাচ্ছিল ডান থেকে বামে কেউ বা সবুজ আবার কেউবা গেরুয়া। যখন তখন দলবদলের সাথে বদলে যাচ্ছিল তাদের সমর্থনের পতাকার রং। এই বদলের সাথে হয়তো একটা কথাই বদলায়নি তা ছিল “দলে থেকে কাজ করতে পারছিনা।”
বছরের প্রথম থেকে অর্থাৎ বিধানসভা ভোটের আগে থেকে একবার চোখ ঘোরালে দেখা যাবে মোদী এবং অমিত শাহের এ রাজ্যে অনেকবার এসেছেন। রাস্তায় রাস্তায় গেরুয়া ঝড় তথা বিজেপির প্রচার দেখা গিয়েছিল। ভোটে অংশগ্রহণকারী নেতারা পৌঁছে গেছিলেন প্রচারের জন্য শহর থেকে মফস্বলে। এত প্রচার, রোড শো এর ফলস্বরূপ অনেকে ভেবেই নিয়েছিলেন বিজেপি এবার বাংলায় আসবেই। ফলাফলে অনেকেই সবুজ কে ছেড়ে গেরুয়া দলে যোগ দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু সে গুড়ে বালি। এত আশাকে হতাশা বানিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল যারা ছেড়েছিলেন তাঁরা নিজের দলে আবার ফিরতে আরম্ভ করেন। এই দল থেকে বেরোনোর আরও এক কারণ হিসাবে উঠে আসছে টিকিট না পাওয়ার জন্য দুঃখ। এ বছর সেই তালিকায় ছিলেন মঞ্জুল কৃষ্ণঠাকুরের ছেলে সুব্রত ঠাকুর। সূত্রের খবর লোকসভা ভোটের আগে থেকেই ঠাকুর পরিবারে রাজনৈতিক ভাঙন সহ সুব্রত ঠাকুরের এক বিশেষ হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ সবই নতুন জল্পনার গন্ধ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:Roundup 2021: রাজনীতি ও সঙ্গীত, মদনের ওহ লাভলি, বামেদের টুম্পা এখন মানুষের মন থেকে ফোনে
পাশাপাশি মমতার ছবি বুকে নিয়ে তৃণমুল ছেড়েছিলেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়। নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে। পরে বিজেপি হারার পর নিশ্চুপ হয়ে গেছিলেন তিনি। পরিস্থিতি বুঝে আবার ঘরে অর্থাৎ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রাজীব। সম্প্রতি তিনি ব্যস্ত ত্রিপুরার ভোট নিয়ে। এছাড়াও রাজীবের সাথে দল ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তিনি এখনও বিজেপিতেই আছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী তার দল ছাড়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, তিনি মমতাকে নন্দীগ্রামে হারিয়েছেন। তাই এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এখনও তিনি প্রিয় পাত্র হয়েই আছেন। অপর কারণ হিসাবে রয়েছে নারদকাণ্ড।
এছাড়াও সোনালি গুহ দল ছাড়লেও ফিরে গেছেন আবারও তৃনমূলেই। অপরদিকে ঘাসফুলের দল ছেড়ে সকলকে তাক লাগিয়েছিলেন মুকুল রায়-ও। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পেয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের টিকিট ও, জিতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘরের টানে আবার তিনি যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলেই।
পাশাপাশি শোভন বৈশাখিকে ভুললেও চলবেনা। খানিকটা নাটকীয়তার সাথেই তারা দুজনে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু সক্রিয় ছিলেন না সেভাবে। যদিও শোভন টিকিট পেয়েছিলেন কিন্তু বৈশাখি টিকিট না পাওয়ায় শোভনের খানিক রাগ হওয়ার দরুন দুজনেই আবার নাটকীয়তার সাথেই বিজেপি ছেড়ে দেন। ফলতই শোভনের ফেলে দেওয়া আসন শূন্য থাকায় সেই আসন দখল করেছিলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও নিশীথ প্রামাণিক, সুজাতা খান, সৌমিত্র খান প্রত্যেকেই ভোটের আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও ভোটের পর আবারও ঘরে ফিরেছিলেন অর্থাৎ তৃণমূলেই যোগ দিয়েছিলেন। অন্যদিকে বামেদের কথা বলতে হলে সেভাবে দলের ভিতর কোনো অদল বদল দেখা যায়নি বললেই চলে।