Madhyamik: বাংলা নয় এ যেন হিব্রু অক্ষর! মাধ্যমিকের উত্তরপত্র দেখে চক্ষু চড়কগাছ শিক্ষকের

অনীশ দে, কলকাতা: ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ যে শিক্ষার নিরিখে সারা বিশ্বকে পিছনে ফেলতে পারে, তা বলাই বাহুল্য। ভারতবর্ষে স্কুলের অভাব না পড়লেও সেখানে যে শিক্ষক শিক্ষিকার অভাব সেটা সম্পর্কেও আমরা অবগত। তবে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মত একটি রাজ্য, যেখানে একাধিক ইতিহাস গড়ে উঠেছে ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে। সেখানে আজ অশিক্ষার ঘনঘটা। সম্প্রতি ফেসবুক এক ভিডিও শেয়ার করা হয় যেখানে এক শিক্ষক রিভিউতে আসা এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর খাতা খুলে দেখান। আর সেই দেখেই ইন্টারনেটবাসীর চক্ষু চড়কগাছ।
সেই খাতায় শুধুমাত্র কলম দিয়ে হিজিবিজি দাগ কেটেছে সেই পড়ুয়া। আর এই দেখে শিক্ষক নিজেই বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘এই খাতা রিভিউতে পাঠিয়েছে!!’ অবশ্য অনেকেই এই পরিস্থিতির গভীরতাকে পাত্তা দিতে নারাজ। তাদের মতে কয়েকদিন আগেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যখন পাশ করার জন্য আন্দোলন করছিলেন তখনই পড়ুয়াদের পর্দাফাঁস হয়েছিল। ছাতার ইংরেজি বানান না পারায় ট্রোল চলে দেদার। তবে কেউ কেউ এই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত।
এই বর্গের মানুষরা বলছেন, যদি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এসে এই রকম অবস্থা হয় তবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এই ছাত্ররা কিভাবে পড়াশুনা করবেন? অবশ্য এই প্রশ্নের জবাবও ছাত্ররা নিজেই দিয়েছেন। মাসখানেকের একটু আগের স্মৃতি হাতড়ালেই মনে পড়বে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন পরীক্ষার দাবি জানিয়েছিল। কেউ কেউ তো ভারতের শিক্ষানীতির নিন্দা করে আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘বিদেশে বই দেখে পরীক্ষা দিতে দেয়’। এছাড়াও একাধিক ছাত্রীরাও পাশ করার দাবিতে রাজ্যের নানা প্রান্তে আন্দোলনরত হয়। এই কারণে সাধারন মানুষ বিক্ষোভ জানতেও পিছপা হন না। তারপর প্রশমিত হয় আজকের দিকের এই আন্দোলন।
অবশেষে যদিও বিশ্ববিদ্যালয় সাফ জানায় পরীক্ষা অফলাইনেই হবে, যেমনটা হওয়া উচিত। আর তা ছাড়াও অনলাইনের ভরসায় কতদিন? কোভিডের থাবায় যাতে শিক্ষায় কোনরকম আঁচ না আসে সেই কারণেই তো অনলাইন, এখন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও অনলাইনে পরীক্ষার দাবি কেন? এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শিক্ষাবিদরা জানিয়েছেন, শিশুর মস্তিষ্ক সবসময়ই অলস, তার উপর তাকে যদি বাড়ি বসিয়েই পাশ করিয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সুবিধার দিকেই মানুষ ঝুঁকবে।