Shoe Attack on Politicians: উড়ে এসেছে ‘উড়ন্ত চটি’! শুধু পার্থ নয়, জনগণের জুতোর বাড়ি খেয়েছেন এই নেতা-মন্ত্রীরাও

মেডিক্যাল পরীক্ষা ( Medical Test ) করিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছিলেন পদ হারানো প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee )। সিআরপিএফ, ইডি অফিসারদের ভিড়। হামেশার মতো দূরে দাঁড়িয়ে জনতা। গোটা বিষয়াদির দিকে তাকিয়ে। তার মাঝখান থেকেই হটাৎ হাওয়ায় উড়ে এল একজোড়া ‘চটি’। সোজা পার্থবাবুর দিকে। তবে সেই জুতোর মালিক লক্ষ্যভ্রষ্ট। পার্থকে না ছুঁয়েই গাড়িতে লেগে মাটিতে পড়ে গেল জুতো জোড়া। ঘুরে গেল রাজ্যের সকল মিডিয়াল ক্যামেরা। বঙ্গবাসীর দৃষ্টি তখন আমতলার শুভ্রা ঘড়ুইয়ের দিকে।
ঘটনা মুখে মুখে ও সংবাদমাধ্যমের প্রচারের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে গিয়েছে বহু দূূর। তবে রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রীদের উপর এমন গণরোষ এটা প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার দেশ তথা বিশ্বের মঞ্চে ফুটে উঠেছে এমন চিত্র। কিছু মাস আগে যেমন শ্রীলঙ্কার ( Sri Lanka ) নেতাদের রাস্তায় গণপিটুনি। জনতার মাথায় রাগ চড়লে তা যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা হয় তো অনেকেরই ধ্যান ধারণার বাইরে।
আহমেদাবাদে মনমোহনকে জুতো:
২০০৯ সাল ২৬ এপ্রিল। আমেদাবাদে নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ( Manmohan Singh )। শান্ত পরিবেশের মাঝেই হটাৎই যেন বেসামাল হয়ে গেল সব কিছু। সরকারের পাঁচ বছরের সাফল্য নিয়ে বক্তৃতা শুরু পর তাঁর দিকে জুতো ছুড়ে মারেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হিতেশ চৌহান। রাজনীতিবিদরা মিথ্যা কথা বলেন, বলে চিৎকার করতে থাকলে সেদিন তাঁকে থামিয়ে দেয় দলের কর্মীরা। এমতাবস্থায় জুতো ছুড়ে বসে সেই ছাত্র।
কেজরিওয়ালকে জুতো:
২০১৬ সালের ৯ এপ্রিল। দিল্লিতে দূষণ-নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোড়-বিজোড় প্রকল্প ঘোষণা করে চলেছেন রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী ( Arvind Kejriwal )। এমতাবস্থায়, তাঁর দিকেও হয় জুতোর আক্রমণ। তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়ে বসেন দেব প্রকাশ শর্মা নামে এক ব্যাক্তি। তিনি ছিলেন আম আদমি পার্টির প্রাক্তন কর্মী। তাঁর দাবি ছিল, এই প্রকল্পগুলির পিছনে চাপা পড়ে যাচ্ছে সিএনজি দুর্নীতি।
আদবানিকে খড়ম:
জুতো নয়, একেবারে ‘খড়ম’ ছুড়ে মেরেছিলেন আদবানিকে ( Lal Krishna Advani )। ঘটনা ২০০৯ সালের। সেই বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। যা মেনে নিতে পারেননি দলের কর্মী পাওয়াস অগ্রবাল। তাই ‘ঝুটা লৌহমানব’ উক্তি কেটে খড়ম ছুড়ে দেন তাঁর দিকে।
ওমর আবদুল্লাহকে জুতো:
২০১০ সালে উপত্যাকায় আয়োজিত একটি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জম্ব-কাশ্মীর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ( Omar Abdullah )। আর তাঁকে লক্ষ্য করেই জুতো ছোড়েন এক ব্যাক্তি।
নবীন পট্টনায়ককে জুতো:
স্বভাবে নাকি বেশ শান্ত প্রকৃতির তিনি। কিন্তু এই জুতো আক্রমণের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি তাঁর নামও। ২০১৮ সালের উপনির্বাচনের ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে ( Naveen Patnaik ) লক্ষ্য করে জুতো ছোড়েন কার্তিক মোহর নামে এক ব্যাক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করেন পুলিশ।