New Party Regulations- নিউ ইয়ার পার্টিতে মানতে হবে নিয়ম, নির্দেশিকা জারি হাইকোর্টের

হাল্কা শীতে বাতাসে কেকের (cake) গরম মশলার সুরভি। চারিদিকে মানুষের ঢল। কারো হাতে বেলুন তো কারো হাতে জ্বলজ্বলে লাঠি। কোথাও বাজছে গান তো কোথাও কেউ গাইছে গান। তরুণদের চোখে মুখে উচ্ছ্বাস। সে এক উৎফুল্ল মেজাজ।  আলো জ্বলা শিং, খরগোশ চুলের ব্যান্ড আর রকমারি সান্তা টুপি। গাউন, ডিনার জ্যাকেট, বো-টাইয়ের ঢল। জায়গা পার্কস্ট্রীট (Park Street) । বড়দিনের (Christmas)  রাত। কিন্তু এবার নাকি ম্লান হতে চলেছে পার্কস্ট্রীটের বড়দিনের উদযাপন।

চলতি বছরের শেষের দিকেই করোনার তৃতীয় ওয়েভ প্রবেশের আশঙ্কা করেছিল দেশের চিকিত্‍সকরা। তবে এখন নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসেও কোভিড সংক্রমণের নিরিখে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে বিগত একমাসে বঙ্গ জুড়ে একাধিক উৎসবকে ঘিরে বেলাগাম ভিড়। ফলাফল করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি। তাই বড়দিন আসার প্রায় ১ মাস ১০ দিন আগেই জাড়ি হল নির্দেশিকা।

বড়দিনে পার্ক স্ট্রীট,পার্ক্সট্রিটের বিশেষ আকর্ষণ,বড়দিনে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকা,বছর শেষের উৎসব,Park Street at Christmas,Parks Street Special Attractions,Calcutta High Court Guidelines for Christmas,Year-End Celebrations

আদালতের নির্দেশ অনুসারে,  কোভিড সচেতনতাকে মাথায় রেখে আগামী ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারিতে রাস্তায় ভিড় করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশকে না মেনে যাতে কোনরকমভাবে কেউ ভিড় জমাতে না পারে সেদিকে নজর রাখার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনকেও। সেই-সঙ্গে পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে বাজি পড়ানোর সময়সীমা আগেই ধার্য করে দিয়েছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এবার সেই ঘোষণাতে সহমত পোষণ করেই বড়দিন ও বর্ষবরণের রাতে ১১ টা ৫৫ থেকে ১২টা বেজে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে বত্‍সরান্তের উৎসব কে ঘিরে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।

আরও পড়ুন…….School College Reopen- ২০ মাস পর খুলল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা, প্রথম দিনেই নজরকাড়া উপস্থিতির হার

পার্ক স্ট্রিটের সাবেক রেস্তরাঁ-কর্তাদের মতে, সরকারি উদ্যোগে গোটা রাজপথ আলোয় সাজানো বা অ্যালেন পার্কের অনুষ্ঠান— সবই খুব ভাল উদ্যোগ ছিল। কলকাতার বহুত্বকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা আজকের দিনে খুবই জরুরি। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশিকায় এবার যে পরিমান ব্যবসার কথা তারা ভাবেন তা আর হবে না। আর যদি জমায়েত একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ক্ষতি হবে ছোট ব্যবসায়ীদেরও- এমনই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ এমএসএমইর কর্মকর্তাদের। সাধারণ মানুষ কিন্তু এই রায়কে বেশ সদর্থক রায় হিসাবেই দেখছেন। কিন্তু বহু ধর্মের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে অন্যান্য ধার্মিক উৎসব যেভাবে পালন করা হয়েছে, সেই ক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে পড়বে এই ধর্মীয় উৎসব তা নিয়ে ক্ষভপ্রকাশ করেছেন এক অংশের মানুষ। কিন্তু করোনা নিয়ন্ত্রণে যে এই পদক্ষেপ দরকার তা নিয়ে দ্বিমত নেই বলা যেতে পারে।




Back to top button