আলিপুরদুয়ারে ‘মানুষখেকো’র তাণ্ডব, ৭ বছরের শিশুকে টেনে নিয়ে গেল চিতাবাঘ, আতঙ্ক

আলিপুরদুয়ারে ফের ‘মানুষখেকো’র তাণ্ডব। প্রাণ গেল ৭ বছরের নাবালকের।

আলিপুরদুয়ারে ফের ‘মানুষখেকো’র তাণ্ডব। প্রাণ গেল ৭ বছরের নাবালকের। সোমবার রাতে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার ঢেকলাপাড়া চা বাগানের নেপানিয়া ডিভিশনের শ্রমিক বস্তির ঘটনা। বাড়ির উঠোনে খেলার সময় আচমকা শিশুকে টেনে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। কিছুক্ষণ পর পাশের ঝোপ থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় তার দেহ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গেছে, বাড়ির সামনে উঠোনে খেলছিল সানি ওঁরাও নামে বাচ্চাটি। অন্ধকারে ঘাপটি মেরে ছিল চিতাবাঘ। আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে তার উপর। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই টেনে নিয়ে চলে যায়। হইচই পড়ে যায় বাড়িতে। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। ঘন্টাখানেক পর বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্থানীয়রাই সানিকে উদ্ধার করে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পথেই মৃত্যু হয় শিশুটির।

Alipurduar,Leopard,Attack,Child Death

মৃত সানি ওঁরাও স্থানীয় ঢেকলাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। মা-বাবা চা শ্রমিক। প্রতিবেশী রমেশ কুজুর বলেন, ‘এভাবে চিতাবাঘের হামলায় শিশুর মৃত্যু হবে, স্বপ্নেও ভাবিনি। ঘটনার কথা মনে পড়লেই গা শিউড়ে উঠছে। বন দফতরকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে’। চিতাবাঘটি এখন কোথায় আছে তা জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের সন্দেহ, চা বাগান হয়ে জটেশ্বর সংলগ্ন বীরপাড়ায় চলে গিয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়েই নেপানিয়ার শ্রমিক বস্তিতে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীরা। গ্রামে ঢুকতেই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বারবার কেন এমন ঘটছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও বনকর্মীরা প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বন দফতরের তরফে এলাকায় খাঁচা বসানো হয়েছে। চিতাবাঘের গতিবিধি জানতে গোপন ক্যামেরাও লাগানো হয়। তবে তাতেও কাজ হয়নি। গত ২৭ আগস্ট ফালাকাটার জটেশ্বরে এক বৃদ্ধের উপর হামলা চালায় চিতাবাঘ। প্রাণ যায় তাঁর। সেই ঘটনার দু সপ্তাহের মধ্যেই ফের চিতাবাঘের হামলায় প্রাণ গেল এক নাবালকের।

 




Leave a Reply

Back to top button