বর্ষার পর খুলল ডুয়ার্সের জঙ্গলগুলো, প্রথম থেকেই পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো
বর্ষার মৌসুম প্রায় শেষের মুখে বললে ভুল হয় না। নদীর ধারে ধারে ফুটে উঠেছে কাশফুল। শরতের গন্ধে চারিদিক ভরে উঠছে। তবে বর্ষার সময় ডুয়ার্সের জঙ্গলগুলোকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হয়।

শুভঙ্কর, উত্তরবঙ্গ: ডুয়ার্স নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ঘন গভীর জঙ্গল। সবুজে মোড়া চারিদিক। শান্ত পরিবেশ। পাখির কিচিরমিচির। প্রকৃতি যেন হাতে সময় নিয়ে এই জায়গাকে বানিয়েছে। ডুয়ার্সের পাহাড়ের ছোঁয়া থাকলেও পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ এখানকার জঙ্গল। বলা ভালো জঙ্গলে থাকা বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। প্রতিবছরই এখানে অসংখ্য পর্যটক ভিড় জমান জঙ্গল সাফারির জন্য। তবে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ফের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল ডুয়ার্সের জঙ্গলগুলোর দরজা।
বর্ষার মৌসুম প্রায় শেষের মুখে বললে ভুল হয় না। নদীর ধারে ধারে ফুটে উঠেছে কাশফুল। শরতের গন্ধে চারিদিক ভরে উঠছে। তবে বর্ষার সময় ডুয়ার্সের জঙ্গলগুলোকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখা হয়। কারণ বর্ষাকালটা বেশিরভাগ বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময়। এই সময়ে পর্যটকদের উপস্থিতিতে তাদের কোন সমস্যার সৃষ্টি যেন না হয় সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত। তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল জঙ্গল। এই বছরও নিয়ম করে জুন মাসের ১৬ তারিখ থেকে বন্ধ রাখা হয় ডুয়ার্সের জঙ্গল। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ফের তা খুলে দেওয়া হয়েছে।
জঙ্গল খুলে যাওয়ার প্রথম দিন থেকেই উৎসাহী পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। ‘সাফারি কার’ নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন তারা। তবে এইবার ডুয়ার্সের গরুমারা, চাপড়ামারি, জলদাপাড়া সহ বিভিন্ন জঙ্গলে পর্যটকদের পকেট থেকে একটু বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। ক্যামেরা নিয়ে ঢুকতে গেলেও টাকা লাগছে। তবে তাতে তাঁদের উৎসাহে কোন ভাটা পড়েনি। আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে পুজোর মরশুম। এই সময় অনেকেই পাহাড়ে ঘুরতে যান। ডুয়ার্সের বিভিন্ন জঙ্গলেও তালিকায় থাকে পর্যটকদের। এখন থেকেই এখানে হোটেল বুকিং আসতে শুরু করেছে। জঙ্গল খুলে যাওয়ায় খুশির হাওয়া পর্যটন শিল্পেও। পর্যটনের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যবসায়ী মহলে খুশির আমেজ। তিন মাস বন্ধ থাকার পর ফের ‘গেস্ট’দের আনাগোনা বেড়েছে।জানিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উৎফুল্ল ব্যবসায়ীরা।