পর্যটকদের পুজোর উপহার দিল রাজ্য, উদ্বোধন করা হল অর্কিড বাগানের
জলপাইগুড়িবাসী পেল অর্কিড গার্ডেন উপহার। শুধু জলপাইগুড়িবাসীর জন্যই নয়, পর্যটক প্রেমীদের জন্য খুলে গেল অর্কিড গার্ডেন। এই গার্ডেনটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে থাইল্যান্ড থেকে আনা, অর্কিড ফুলের সাহায্যে।

শুভঙ্কর, উত্তরবঙ্গ: পুজো আসার আগে থেকেই রাজ্যবাসী কিছু না কিছু উপহার পেয়ে থাকেন। কখনও পান অভিনব মণ্ডপসজ্জা বা কখনও উপহার হিসেবে পেয়ে থাকেন নানা প্রশাসনিক কাজকর্ম। এবার জলপাইগুড়িবাসী পেল অর্কিড গার্ডেন উপহার। শুধু জলপাইগুড়িবাসীর জন্যই নয়, পর্যটক প্রেমীদের জন্য খুলে গেল অর্কিড গার্ডেন। এই গার্ডেনটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে থাইল্যান্ড থেকে আনা, অর্কিড ফুলের সাহায্যে। এখানে পর্যটকরা শুধু ঘুরতেই নয়, অর্কিড গাছ কিনতেও পারবেন। গত ৯ তারিখ শনিবার এই গার্ডেনটি উদ্বোধন হয়। গার্ডেনটি উদ্বোধন করেন রাজ্যের উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী গুলাম রব্বানি। তিনি এই গার্ডেনটি উদ্বোধন করে বলেন, “ এই গার্ডেনটি গড়ে তুলেছেন জলপাইগুড়ির হার্টিকালচার দফতর ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে। এছাড়াও এখানে চাষীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অর্কিড চাষ শেখানো হবে।”
দেশের রাষ্ট্রপতি ভবনের অর্কিড গার্ডেন সম্পর্কে প্রত্যেককেই জানেন। তারপর খুব সৌন্দর্য দেয় সকলের। সেই দিক থেকে এইবার জলপাইগুড়িতে যদি অর্কিড চাষ শুরু করা যায় তাহলে লাভ হবে রাজ্যের বাসিন্দাদের। অনেক ফুল প্রেমী মানুষ আছেন যারা অর্কিডের খোঁজে বহু দূরে বেরিয়ে পড়েন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেই দিন শেষ বলে মনে করছেন এই অর্কিড বাগানের সঙ্গে যুক্ত সকলে। অন্যদিকে আবার প্রশাসনিক লাভও বাড়বে। পর্যটকরা বেশি পরিমাণে এখানে ঘুরতে আসলে লাভ আখেরে রাজ্যই।
রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুব্রত গুপ্ত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে জানান, এখানে একবার অর্কিট চাষ শুরু করা গেলে বাইরে থেকে আর অর্কিড আনতে হবে না। তিনি বলেন, “ চাষীদের আমরা অর্কিড চাষের জন্য উৎসাহ দিচ্ছি, একবার যদি এখানে অর্কিড চাষ সফলভাবে করা যায় তাহলে বাইরে থেকে আর এই ফুল আনতে হবে না। এখানে অর্কিড বাগানের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাফেক্ট এরিয়া রয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে এখানে অর্কিড এনে টিস্যু কালচারও শুরু করা হবে। অর্কিডের অনেক ধরন রয়েছে তবে সব ধরণ এখনই চাষ করা সম্ভব হবে না। তবে আগামী দিনে আমাদের সেই প্রচেষ্টাও থাকবে”।