পুজোয় জলপাইগুড়ির বিশেষ আকর্ষণ রাজস্থানী ঘরাণার রাজপ্রাসাদ
লোহার কাঠামো দিয়ে এই প্যান্ডেলটি গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন জিনিসও। জানা গিয়েছে প্যান্ডেলের ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে বিখ্যাত রাজ ঘরানার ঝাড়বাতি।

জলপাইগুড়ি: বাঙালি মানেই ‘পূজো প্রেমী’ জাত। সে ‘বনেদি বাড়ির পূজো’ হোক কি ‘বারোয়ারি পুজো’ সবেতেই বাঙালির আবেগ, ভালোবাসা ও উচ্ছ্বাস তুঙ্গে থাকে। পূজোর এক মাস আগে থেকেই বাঙালির মানসিকতার মধ্যে একটা আলাদা পরিবর্তন দেখা যায়। রোজ দশটা থেকে পাঁচটা কাজ করে বাড়ি ফেরা লোকেরা, বাজারে বা শপিং মলে ভিড় জমায় নতুন পোশাক কিনতে। আর দুর্গাপুজো শুরু হলে তো কোন কথাই হবেনা। পুজোর প্রতি ভালবাসা বাঙালির কতটা সেটা এই পাঁচটা দিনই ভালোরকম বোঝা যায়। প্যান্ডেল হপিং থেকে শুরু করে রাস্তার স্টলগুলিতে খাওয়া, সবরকম চিত্রই ধরা পড়ে।
তবে দেবী দুর্গার প্রতিমার পাশাপাশি যেই জিনিসটি পুজো প্রেমীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষিত করে, সেটি হল পূজোর থিম বা প্যান্ডেল। কি দিয়ে তৈরি হয়েছে প্যান্ডেল বা কিসের আদলে তৈরি সব, এগুলোর প্রতিই মানুষের ঝোঁক বেশি থাকে। তাই প্রতিবছর জনপ্রিয় পুজোগুলি নতুন নতুন থিম নিয়ে আসে দর্শনার্থীদের আকর্ষিত করতে এবং প্যান্ডেল চত্বরে ভিড় জমাতে। এবার সেরকমই একটি নতুন থিম জলপাইগুড়িবাসী সহ গোটা উত্তরবঙ্গকে উপহার দিলো জলপাইগুড়ি পাণ্ডাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। জানা গিয়েছে, এই বছর তাঁদের পুজো ৯৫ তম বর্ষে পা ফেলেছে।
পুজোর মন্ডপটি কাল্পনিক হলেও জেলার মানুষের যে মন ছুঁয়েছে, তা ভিড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এবারে তাঁদের থিম রাজস্থানী ঘরাণার রাজপ্রাসাদ। লোহার কাঠামো দিয়ে এই প্যান্ডেলটি গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন জিনিসও। জানা গিয়েছে প্যান্ডেলের ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে বিখ্যাত রাজ ঘরানার ঝাড়বাতি। উল্লেখ্য, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে নবমী ও দশমীর দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে রাজ্যে। এই কথাটি মাথায় রেখে জেলায় জেলায় দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। দ্বিতীয় থেকেই মানুষের ঢল নেমে পড়েছে জেলার রাজপথগুলিতে। মনে করা হচ্ছে সপ্তমী ও অষ্টমীর দিন এই ভিড় বৃদ্ধি পাবে এবং রেকর্ড গড়বে পাশাপাশি।