Saint Xaviers College: সুইমস্যুট পরে ছবি দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে অধ্যাপিকার, প্রতিবাদে সরব গায়িকা পরমা ব্যানার্জি

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: বিশের দশকে এসে এখনও প্রশ্ন ওঠে মেয়েদের পোশাক নিয়ে। কে কী পরবে সেটাও নাকি ঠিক করে দেবে বাইরের কেউ। নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা হলেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনও নারীদেরকে সেই আগের মতোই ছোট নজরে দেখা হয়। আর তাই যদি না হত তাহলে ‘সুইমস্যুট’ পরা ছবি পোস্ট করে কারও চাকরি চলে যেতও না।
কলকাতার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (St Xaviers University)এক অধ্যাপিকা নাকি ইনস্টাগ্রামে ‘সুইমস্যুট’ পরা ছবি দিয়েছিলেন! আর তাতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। এই নিয়ে রীতিমতো উত্তাল বাংলা। শুধু বরখাস্ত নয় জল গড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে আদালত পর্যন্ত।
বর্তমান যুগে এসে সবাই তাঁদের নিজের পছন্দ মতো গড়ে তুলছেন সবাই। কখনও শাড়ি আবার কখনও বিকিনি বা সুইমস্যুটে। নিজেদেরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার জন্য কে কী পোশাক পরবে সেটা তাঁদের নিজের মতামত। তা সে বয়স যায় হোক না কেন। ‘এজ ইজ জাস্ট এ নাম্বার’। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটল? ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?
নিজের সুইমস্যুট পরা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিল্পী পরমা বন্দ্যোপাধ্যায় ( paroma banerjee ) তিনি লিখেছেন, ‘৫ থেকে ১৬, সাঁতার কেটেছি। সেই সময় সাঁতারের পোশাক ওয়ান পিস এনে দিত পরিবার। এখন বড় হয়েছি। দুই ছেলের মা। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছুটা রক্ষণশীলভাবে নিজেকে ক্যারি করতাম।’ তিনি আরও জানান, ‘জীবনে এই প্রথমবার এতটা অনাবৃত একটা সাহসী ছবি দেওয়ার দুঃসাহস করছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানি না কীভাবে তা গৃহীত হবে। তবে এটা অবশ্যই বলব যে আমাদের সমাজে এই কলেজের ঘটনাটা একটা মাইলস্টোন চিন্তাধারার বদল আনতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।’
ওই অধ্যাপিকা জানান, তিনি বেড়াতে গিয়ে সুইমস্যুট পরা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। সেই বিষয়টি নজরে আসে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এরপর ভাইস চ্যান্সেলর একটি বৈঠক করেন এবং এরপরই ওই অধ্যাপিকাকে একটি রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়। আর রিপোর্ট জমা করার পর নির্দেশ আসে পদত্যাগ করুন।
অধ্যাপিকা (St Xaviers University) আরও দাবি করেন, পদত্যাগ করার আগে তাঁর হাতে কোনও লিখিত অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। যে বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। সূত্রের খবর, ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলেও অঅভিযোগ করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তোলপাড় পড়ে যায় গোটা বাংলা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।