‘সুইসাইড নোট’, তাও আবার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর হাতের তালুতে
বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় সঞ্জয় এবং পুজার। প্রথমে সংসার বেশ সুখেই চলছিল। তারপরই আসল রুপ বেড়িয়ে পড়তে থাকে। পুজার উপর শুরু অকথ্য অত্যাচার। এর মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে পুজা। আর সব শেষে আত্মহত্যা। কিন্তু আত্মহত্যার পুর্বে মৃতা নিজের হাতেই লিখে রেখেছিলেন সুইসাইড নোট।
আবারও শ্বশুর বাড়ির অকথ্য অত্যাচারের শিকার হতে হল এক গৃহবধূকে। দক্ষিণ কলিকাতার টালিগঞ্জ এলাকার বাড়ি থেকে উদ্ধার এক গৃহবধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূকে উদ্ধারের পর তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হল না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসক৷
মৃতার নাম পূজা চন্দ৷ দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন পুজা৷ জানা গিয়েছে, নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে৷ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ এবং তারপরই আবিষ্কৃত হয় মৃতা নিজের হাতেই লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোট। লেখা, “ আমার মৃত্যুর জন্য আমার শাশুড়ি দায়ী “।
আরও পড়ুন……Jagaddhatri Puja- বন্ধ ‘সাং’, বিক্ষোভে ঝরল নিষ্পাপ প্রান! উৎসবের মাঝেই বাড়ছে উত্তেজনা
পুলিশ সূত্রে খবর , বছর দুয়েক আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় টালিগঞ্জ নিবাসী সঞ্জয় চন্দর। জানা গিয়েছে বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই পূজার ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাতো তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই এই ভয়ানক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় পূজা। মৃত্যুর সময় এই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর৷ সুত্রের খবর, মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার তাঁর স্বামী এবং শুক্রবার শাশুড়িকে আটক করেছে৷ ৩০৪ বি ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিশ। পণের জন্য শ্বশুর বাড়ি থেকে কোনো রকম চাপ দেওয়া হচ্ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।